শনিবার (১০ জুন) মধ্যরাত থেকে শেষ হয়েছে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনী প্রচারণা।
রবিবার থেকে বন্ধ থাকবে সব ধরনের মিছিল, পথসভা, জনসভা কিংবা শোভাযাত্র। একই সাথে কক্সবাজার পৌরসভার বাসিন্দা নন এমন কেউ পৌরসভায় অবস্থান করতে পারবেন না।
এছাড়া পরিবহণ চলাচলের উপরও আনা হয়েছে শিথিলতা। নির্বাচনকালী সময় আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম, র্যাব এবং বিজিবি মোতায়ন থাকবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং অফিসার মোহম্মদ শাহদাৎ হোসাইন বলেন, একটি সুষ্ঠু, অবাধ নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা কাজ করছি। এখানে কোন প্রার্থী কোন দলের সেটি বিবেচ্য নয়।
নির্বাচন কার্যালয়ের তথ্য মতে, কক্সবাজার পৌরসভায় ১২ টি ওয়ার্ডে এবারে ৪৩ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল আটটা থেকে। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৪৮১১ জন। যেখানে পুরুষ ভোটার ৪৯৮৮৫ এবং নারী ভোটার ৪৪৯২৬ জন। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫জন। ১২ টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৬ জন। এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৬ জন।
এদিকে, মেয়র পদে ৫ জন প্রার্থী হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মাহবুবুর রহমান এবং মাসেদুল হক রাশেদের মাঝে। তারা দুইজনই জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে নাগরিক কমিটির ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় রাশেদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অপরদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সব ধরনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রচার করা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তি।
কক্সবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার বলেছেন, ১২ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে পৌরসভা আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ১০ জুন রাত ১২টা হতে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোন প্রকার মিছিল, পথসভা, জনসভা, শোভাযাত্রা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কোন ধরনের প্রচারণা চালাতে পারবেন না।
একই সাথে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা বা ভোটার নন এমন কোন ব্যক্তি পৌরসভা এলাকা বা নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নির্বাচনকালী সময় পুলিশ, এপিবিএন ও আনাসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম থাকবে ১২টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৫টি, র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে ৬টি এবং বিজিবি ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে।
একই সাথে পরিবহণ চলাচলের উপরও আনা হয়েছে শিথিলতা। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারা অনুযায়ী ১১ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১২ জুন ১২টা পর্যন্ত কক্সবাজার পৌরসভায় মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক, বাস, জীপ, পিক আপ, কার, ইজিবাইক এবং মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তবে রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকের জন্য পরিবহণ ব্যবস্থা শিথিলযোগ্য।
একই সাথে নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজে নিয়োজিত এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রম নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। জেলা প্রশাসক এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিবেন।
Leave a Reply