1. coxsbazarshomachar@gmail.com : admin :
সদ্য পাওয়াঃ
পার্বত্যাঞ্চলে ১২এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বৈশাখী উৎসব চকরিয়া সার্বজনীন কেন্দ্রীয় হরিমন্দির উন্নয়ন ও পরিচালনা কমিটিতে বিএনপি নেতা তরুণ শীল সভাপতি, সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথ সম্পাদক নির্বাচিত বান্দরবান লামায় দুই তামাক চাষিসহ ৯ জন অপহরণ ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ মার্চ মাসে রেকর্ড ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বান্দরবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী অনুষ্ঠিত ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নিতে রাজি মিয়ানমার চকরিয়ায় খুটাখালী কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন-সালাহউদ্দিন আহমেদ ঈদুল ফিতরের দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরলো ৫টি প্রাণ চকরিয়ায় বিদ্যুত স্পৃষ্টে কিশোরের মৃত্যু

সাদা পাথরের সৌন্দর্য দেখতে কখন যাবেন?

  • পোস্টিং সময় : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩

কক্সবাজার সমাচার ডেস্ক :

চারপাশে ছড়িয়ে আছে সাদা পাথর। মনে হয় যেন, প্রকৃতি শুভ্র বিছানা বিছিয়ে রেখেছে। মাঝখানে স্বচ্ছ নীল পানি। চারদিকে ঘিরে আছে ছোট-বড় কয়েকটি পাহাড়। তার উপরে যেন আছড়ে পড়েছে মেঘ। এ ছাড়াও চারপাশে আছে সবুজ প্রকৃতি। সব মিলিয়ে প্রকৃতির যেন অপরূপ এক স্বর্গরাজ্য। দূর দূরান্ত থেকে পর্যটকরা এই অপূর্ব স্থানটি উপভোগের জন্য ছুটে আসে সাদা পাথরের দেশে।

সাদা পাথর আবার কোথায়? নিশ্চয়ই এমনটিই ভাবছেন! সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান। সিলেট শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরত্বে সীমান্তবর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ অবস্থিত। আর সেখানেই আছে সাদা পাথরের স্বর্গরাজ্য। ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারির জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন নতুন পর্যটন স্পট হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে ‘সাদা পাথর’ নামক স্থানটি।

সিলেট নগরীর সীমানা পার হলেই পৌঁছে যাবেন লাক্কাতুরা চা বাগান। সেখানে সারি সারি চা গাছ দেখে চোখ জুড়াবে। বাংলাদেশের প্রথম চা বাগান এটি। এই চা বাগানের সীমানা পেরিয়ে সালুটিকর বাজার। তারপর কোম্পানীগঞ্জের সীমানা শুরু।

এরপরই দেখবেন, একদিকে সবুজ ধানক্ষেত আর অন্যদিকে বিশাল জলাভূমি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতেই পৌঁছে যাবেন কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজার। সেখান থেকে ট্রলারে আধা ঘণ্টায় ভোলাগঞ্জ জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সাদা পাথর পর্যটন স্পটে পৌঁছে যাবেন।

ভোলাগঞ্জ কোয়ারির জিরো পয়েন্টের ওপারে উঁচু পাহাড়ে ঘেরা বনাঞ্চল। সেদিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ। আর নিচে তাকালেই দেখবেন সাদা পাথর ছড়িয়ে আছে। আর মাঝে স্বচ্ছ পানি। সেখান থেকে নেমে আসছে ঝরনার অশান্ত শীতল পানি। ঝরনার পানি গড়িয়ে চলে যাচ্ছে ধলাই নদীর বুকে।

ভোলাগঞ্জ যাওয়ার সঠিক সময় কখন?

সারাবছরই সাদা পাথরের দেশে ঘুরতে যেতে পারেন। তবে বর্ষার সময় এ স্থানের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়। জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই সময় যাওয়ার জন্যে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। অন্যসময় গেলে সেখানে পাথরের সৌন্দর্য দেখতে পেলেও নদীতে বা ছড়ায় পানির পরিমাণ কম থাকবে। শীতকালে সাদা পাথর এলাকায় নৌকা চলাচল করার মতো পানি থাকে না। তখন পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে হবে।

আর বর্ষায় নদীর বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পাথরের বিছানা ভরাট নদীর শোভা বাড়িয়ে দেয় হাজারগুণ। সাদা পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ঝরনার পানির তীব্র স্রোতে নয়ন জুড়ায়। অনেকেই সাদা পাথর পর্যটন স্পটকে ছবিতে বিছনাকান্দি ভেবে ভুল করেন!

দেখতে একই মনে হলেও সামনাসামনি গেলে পার্থক্যটা চোখে পড়বে। সেখানকার সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য বোধ হয় পাথরের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে চলা পানি। কলকল শব্দে অশান্ত হয়ে নদীর বুকে মিশে যায় ঝরনার পানি।

ভারত থেকে নেমে আসা সীমান্ত নদী ধলাই নদীর জিরো পয়েন্ট এলাকা স্থানীয়ভাবে ‘সাদা পাথর’ এলাকা হিসেবে পরিচিত। এই স্পটটি এখন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এলাকাটি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকরা সেখানে ভিড় করেন।

জানা যায়, ভারতের খাসিয়া জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে নেমে আসা ধলাই নদীর পানির সঙ্গে প্রতিবছর বর্ষাকালে নেমে আসে প্রচুর পাথর। ধলাই নদীর তলদেশেও রয়েছে পাথরের বিপুল মজুদ। পাথর উত্তলোনের কাজ সহজ করতে ১৯৬৪-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে রোপওয়ে টাওয়ারগুলো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সেখানে গেলেই চোখে পড়বে পাথর উত্তেলনের দৃশ্য। ছোট ছোট নৌকায় করে পাথর উত্তলোন করে বয়ে নেওয়ার দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। এভাবেই সেখানকার মানুষেরা জীবিকা নির্বাহের উদ্দেশ্যে পাথর উত্তোলন করে থাকেন। দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি ভোলাগঞ্জের উৎসমুখ সাদাপাথরে সবসময়ই চেরাপুঞ্জি থেকে স্বচ্ছ নীল ও ঠান্ডা পানি নেমে আসে।

কীভাবে যাবেন সাদা পাথর দেখতে?

সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলে সিলেট কোম্পানীগঞ্জ রুটে। ১২০ টাকা জনপ্রতি ভাড়ায় কোম্পানীগঞ্জের টুকের বাজারে নামাবে। টুকের বাজার থেকেই ট্রলারে চলে যেতে পারেন সাদা পাথর।

কোম্পানীগঞ্জ পৌঁছে টুকের বাজার ঘাট থেকে ট্রলারে সাদা পাথর পৌঁছাতে ৩০ মিনিটের মতো সময় লাগবে। যাওয়া-আসায় নৌকা ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা। এখানে নৌকা রিজার্ভ করে নিতে হয়, অন্যথায় ভুগতে হবে।

তাই দলবেঁধে গেলে খরচটা একটু কম হবে। সিলেট থেকে ভোলাগঞ্জ সরাসরিও চলে যাওয়া যায়। ১০ মাইল নামক স্থান থেকে নৌকা নিলে ৫০০-৬০০ টাকা ভাড়া পড়বে, তবে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হবে অটোরিকশায়।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ কক্সবাজার সমাচার
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!