প্রখ্যাত বিজ্ঞান লেখক, ঔপন্যাসিক আর্থার সি ক্লার্ক বললেন ‘দুটো সম্ভাবনা বিরাজ করছে। মহাবিশ্বে আমরা হয় নিঃসঙ্গ অথবা আমরা নিঃসঙ্গ নই। দুটোই আমাদের জন্য সমানভাবে ভয়ংকর।’
তারা কারা? তারা এলিয়েন নয় কি?
এলিয়েন কারা?
১৯৬৫ সালে প্রকাশিত হ্যারি হ্যারিসনের ‘প্লেগ ফ্রম দ্য স্পেস’-এর দুটি পঙ্ক্তি: তারা পরস্পরের দিকে তাকায়—মানুষ এবং এলিয়েন; আরও সঠিকভাবে বলতে হয় এলিয়েন এবং ইলিয়েন—কারণ পরস্পরের কাছে তারা এলিয়েন। এলিয়েন মানে ভিন্ন ধরনের, এলিয়েন মানে অপরিচিত।
বিষয়টি মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো। আমরা যাদের এলিয়েন মনে করছি, তারা যদি সত্যিই থেকে থাকে, তারাও তো আমাদের এলিয়েনই ভাবছে। যে বিশ্বসুন্দরীকে দেখে আমরা মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাকিয়ে থাকছি, আমাদের ধারণাও নেই যে তাকে দেখে অন্য ভুবন থেকে আসা এলিয়েন হয়তো বলছে: ও মাই গড—এত কুৎসিত প্রাণী। আমাদের মেয়েরা কত সুন্দর!
এলিয়েনের সাথে মানুষের প্রথম সাক্ষাৎ কবে ঘটল? এলিয়েন নিয়ে গবেষণায় যারা মেতে আছেন, তারা জোর দিয়ে বলছেন খ্রিষ্টজন্মের ১৪৪০ বছর আগে (তার মানে ৩৪৬৩ বছর আগে) প্রাচীন মিসরের ভাটি অঞ্চল ষষ্ঠ ফেরাওর রাজত্বকালে একটি অগ্নিবিস্ফোরক সেখানকার আকাশ পরিভ্রমণ করেছে। পরবর্তীকালে এই চাকতিই আনআইডেন্টিফাইড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও হিসেবে পরিচিত হয়েছে। এর যাত্রীই এলিয়েন।
প্রাচীন গ্রিসের অ্যানাক্সিমেন্ডার খ্রিষ্টজন্মের ৬১০ বছর আগে কসমিক প্লুরালিজমের ধারণাটি দিয়েছেন। মহাবিশ্বে মানুষই একমাত্র জীবিত ও সঞ্চরণশীল প্রাণী নয়, আরও অনেকেই আছে। তারা কেমন, তাদের সংখ্যা কত, আমাদের ধারণাই নেই।
বিজ্ঞান লেখক কার্ল সাগান তার নাট্যচিত্র ‘কনটাক্ট’-এ লিখেছেন: যদি শুধু আমরাই হয়ে থাকি, তাহলে তো মহাকাশের বিপুল পরিসরের ভয়ংকর অপচয়।
অসাধারণ পর্যবেক্ষণ। মহাবিশ্বের এত অপচয়ের কারণ নেই।
বিংশ শতকের শুরুর দিকে পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির একটি প্রশ্ন মনুষ্য সমাজে বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে: বিশাল পরিসরের এই মহাবিশ্বে আমরা কেন এখনো বুদ্ধিদীপ্ত ‘এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল লাইফ খুঁজে পাইনি?’ এই পৃথিবীবহির্ভূত জীবন কিংবা মানুষই এলিয়েন কিংবা এক্সট্রাটেরিস্ট্রিয়াল লাইফ। কিংবা এনরিকো ফার্মির প্রশ্নটি এমনও হতে পারে—এলিয়েনরাই বা মানুষকে খুঁজে পায়নি কেন?
নাকি তারা মানুষকে খুঁজে পেয়েছে, তবে মানুষকে নিকৃষ্ট প্রজাতির প্রাণী মনে করে তাদের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেনি। তাই যদি হয়, এটা বিদ্যাবুদ্ধির অহংকারে ভরপুর মানুষের গণ্ডদেশে এটা হবে কষে দেওয়া এক চপেটাঘাত। পদার্থবিজ্ঞানীর প্রশ্নটি জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশ গবেষকদের অসম্পূর্ণতার দিকটি একদিকে যেমন তুলে ধরেছে, অন্যদিকে কল্পবিজ্ঞান লেখকদেরও তাদের কল্পনার জাল বিস্তৃত করে লিখে যাওয়ার প্রেরণা দিয়েছে।
কনস্ট্যানটিন মাইলোকোভস্কি মনে করেন, মহাবিশ্বের সর্বত্রই সেখানকার উপযোগী যথার্থ জীবন বিরাজমান। বিল ওয়াটারসন ঠাট্টা করেই হয়তো তার কমিক স্ট্রিপ ‘কেলডিন অ্যান্ড হনর্স’-এ বলছেন, পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বে যে বুদ্ধিমান জীবন রয়েছে, তার নিশ্চিত প্রমাণ পৃথিবীর মানুষের সাথে যোগাযোগ করার মতো বোকামি তারা করেনি।
এরিক আইডলের মহাজাগতিক সংগীত: চলো প্রার্থনা করি মহাকাশে কোথাও যেন বুদ্ধিমান প্রাণী থাকে। কারণ, পৃথিবীটা আহাম্মকে ভরে গেছে।
বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক এইচ জি ওয়েলস ‘দ্য ওয়ার অব দ্য ওয়ার্ল্ডস’-এ লিখেছেন: ঊনবিংশ শতকের শেষ বছরগুলোতে কেউই বিশ্বাস করত না যে মানুষের চেয়ে অধিকতর বুদ্ধিসম্পন্ন কেউ কেউ নিবিড়ভাবে এবং কাছে থেকে তাদের পর্যবেক্ষণ করছে: অবশ্য তারা মানুষের মতোই মরণশীল।
দার্শনিক হেরোডোটাসকে লেখা এপিকিউরাসের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে: আমাদের পৃথিবীর মতো এবং আমাদের পৃথিবীর চেয়ে ভিন্ন ধরনের অগণিত বিশ্ব রয়েছে। আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে, সেই সব বিশ্বে আমরা পৃথিবীতে যেমন প্রাণী, উদ্ভিদ ও অন্যকিছু দেখতে পাই, সেখানেও তা রয়েছে।
পুরোনো দিনের সিনেমায় ফ্লাইং সসার
ওয়ার্নার ফন ব্রাউন ১৯৩০ সালে লিখেছেন: আমাদের মহাকাশের ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্রের একটি হচ্ছে আমাদের সূর্য। আমাদের মহাকাশ হচ্ছে মহাবিশ্বের অসংখ্য মহাকাশের একটি। কাজেই এই অতিকায় পরিসরে একমাত্র আমরাই জীবন্ত প্রাণী—এটা ভাবা মহামূর্খতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রাচীনতম সাহিত্যকর্ম ‘এপিক অব গিলগামেশ’ মহাজগতিক বিষয় স্পষ্ট করেছে; অনেকেই মনে করেন, বিজ্ঞান-জ্ঞানের অপর্যাপ্ততার কারণে এই রচনা বিভ্রান্তিকর। অন্যরা মনে করেন, কল্পবিজ্ঞানের মাধ্যমে এই গ্রন্থ থেকে বিজ্ঞান বিপ্লবের সূচনা। স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিটার স্টারোকের আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিকাল সোসাইটির ১৩৫৬ সদস্য বিজ্ঞানীর উপর পরিচালিত সমীক্ষায় ৬২ জন জানিয়েছেন, তাদের মহাকাশ সফরে তারা অদ্ভুত কিছু দেখেছেন এবং অনুভব করেছেন। কৌতূহলের বিষয় হচ্ছে, আনবিক যুগে অ্যাটমিক পাওয়ার প্ল্যান্টের কাছাকাছি ইউএফও দৃশ্যমান হয়েছে, ১৬০ জনেরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শী রিপোর্ট করেছেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশচারী ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক ১৯৬০ সালে প্রথম এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের বৈজ্ঞানিক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমি অবজার্ভেটরিতে ৮০ ফুট উঁচু ডিশ স্থাপন করেন। তিনি এলিয়েনদের সাথে কথোপকথন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো এলিয়েনের সাড়া না পাওয়ায় প্রকল্পটি ব্যর্থ হয়। তবে ফ্রাঙ্ক ড্রেক এলিয়েন সম্ভাবনা নিয়ে যে তাত্ত্বিক জ্ঞান সম্প্রসারিত করে, তা একালে ড্রেক থিওরির আওতায় বিশ্লেষণ করা হয়। মহাকাশবিজ্ঞানীরা সৌরজগতে পরিবেশ বিশ্লেষণ করে চারটি সম্ভাব্য এলিয়েন স্পষ্ট নির্ধারণ করেছেন: মঙ্গলগ্রহের ভূগর্ভ, শনির উপগ্রহ এসসেলাডাস এবং জুপিটারের উপগ্রহ ইউরোপা ও ক্যালিস্তো। জুপিটারের বরফাচ্ছাদিত অংশের তলদেশে সমুদ্র থাকতে পারে।
গ্রেট ফিল্টার হচ্ছে একটি তাত্ত্বিক শক্তি ও বাধা, যা পৃথিবীর মানুষকে এলিয়েনের সাথে যোগাযোগ করা থেকে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বাধা জাগতিক সভ্যতা ও এলিয়েনের মধ্যে দেয়াল সৃষ্টি করে রেখেছে।
বেলগ্রেডের অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজার্ভেটরি এবং অক্সফোর্ডের ফিউচার অব হিউম্যানিটি ইনস্টিটিউট একটি ‘এস্টিভেশন’ (ধবংঃরাধঃরড়হ) হাইপপোথিসিস প্রচার করেছে। তাতে এলিয়েনের উপস্থিতি স্বীকার করে বলা হয়েছে, বর্তমানে তারা গভীর হাইবারনেশনে রয়েছে, যেমন করে ভালুক ও ব্যাঙ দীর্ঘ শীতনিদ্রায় যায়। কিন্তু ‘গাইয়ান বটলনেক’ তত্ত্ব অনুযায়ী জীবনের উদ্ভব ও বিকাশের জন্য বিশেষ ধরনের পরিবেশগত আস্থা বিরাজ করা প্রয়োজন। পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও তা না থাকায় এলিয়েন থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই। এদিকে সৌরজগতের ভেতরেই ২০১৫ সালে প্লুটো গ্রহের বরফাচ্ছাদিত পৃষ্টদেশ নিয়ে গবেষণায় বিজ্ঞানীরা লুক্কায়িত সাগর, পর্যাপ্ত মিথেন ও নাইট্রোজেন গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। এ অবস্থায় জীবনের অস্তিত্ব থাকা অবাক হবার ব্যাপার নয়।
২০০৬ সালে নভোচারীগণ সাধারণ মহাজাগতিক ধ্বনির ৬ গুণ উচ্চস্বরের একটি ধ্বনি মহাকাশে শুনেছেন এবং রেকর্ড করেছেন। তার আগেই এলিয়েন স্বর রেকর্ড করার জন্য ৫৫টি ভাষায় অভিবাদনসহ একটি গোল্ড প্লেটেড রেকর্ডার মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
মিল্কিওয়ের শতভাগের এক ভাগও আমাদের পর্যবেক্ষণের আওতায় পুরোপুরি আসেনি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, অন্তত ৫০ ভাগ যখন তাদের যন্ত্রে পূর্ণভাবে ধরা পড়বে, তখন থেকে এলিয়েনদের দেখা সম্ভব হবে। কাজেই মহাকাশবিজ্ঞানে মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
এলিয়েন অতি প্রাচীনতম প্রাণীর একটি। টার্নবুল মনে করেন, এদের জন্ম ৩ বিলিয়ন বছর আগে। বিজ্ঞানীরা এটাও মনে করছেন, এক্স-প্ল্যানেট (সৌরপদ্ধতির বাইরের গ্রহ) এলিয়েন জীবনধারণে সহায়তা করছে, এলিয়েনের জন্য বাসযোগ্য স্থানের বিকাশ ঘটাচ্ছে।
এলিয়েন দর্শনের সবচেয়ে বেশি খবর এসেছে ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত। এসব খবর গবেষণার বিষয় হয়ে উঠেছে। হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কারণ সায়েন্স ফিকশনের ব্যাপক পঠন, অনেকেই তা মনে করেন।
মিল্কিওয়েতে পৃথিবীর কাছাকাছি ৩৮০০ এক্সপ্ল্যানেট চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর মতো গ্রহের সংখ্যা ৪০ বিলিয়ন বলে মনে করা হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট—আমাদের অনাবিষ্কৃত মহাকাশই অসীম পরিসরে, এখনো অনেক জানার বাকি।
বায়োসিগনেচার হচ্ছে যেসব গ্যাস, যা প্রাণের অস্তিত্বের সাক্ষ্য দেয়। এমন একটি গ্যাস মিথেন। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা অক্সিজেন ওজোনের সাথে মিশে থাকা মিথেনেরই অনুসন্ধান করেন। ১৮৪৮ সালে টমাস ডিক সৌরজগতে প্রতি বর্গমাইলে ২৮০ জন মানুষের হিসাব করে দেখেছেন প্রাণীর সংখ্যা আসলে ২২ ট্রিলিয়ন। মানুষ তো এর অতি সামান্য অংশ। বাকিরা কারা? এর একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তার মতে হয়তো এলিয়েন।
এলিয়েন নিয়ে সাম্প্রতিক জ্ঞান
এলিয়েন হান্টারদের জন্য ২০২১ সালটা করোনাকালের মধ্যে হলেও আশ্বস্তকর কিছু সংবাদ দিয়েছে।
পেন্টাগন বিস্তারিত এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ১৪৪টি ইউএফও দেখার ঘটনা ঘটেছে। পেন্টাগণ এটাকে বলছে ইউএপি—আনআইডেন্টিফাইড এরিয়েল ফেনোমেনা ঘটিত হুমকি কিংবা ঝুঁকি। বিষয়টি মার্কিন সরকার জানে। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: এলিয়েন কিংবা ইউএপির শক্তির উৎস কী—সহজ জবাব ব্ল্যাকহোল। এই কালো গহ্বর সূর্য কিংবা অন্য যেকোনো নক্ষত্রের চেয়ে এক লক্ষ গুণ বেশি আলোর প্রতিফলন ঘটাতে পারে। হয়তো সেখানে এলিয়েন সভ্যতাও গড়ে উঠে থাকতে পারে। এলিয়েন গ্রহগুলো কেন পৃথিবীর মতো হতে যাবে? অবশ্যই তা ভিন্ন ধরনের। যেমন হাইসিয়ান প্ল্যানেটের উল্লেখ করা হয়েছে। তা বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেনসমৃদ্ধ। এই গ্রহ পৃথিবীর চেয়ে আড়াই গুণ বড়। শনি গ্রহের চাঁদে জীবন থাকার সম্ভাবনা আরও জোর দিয়ে বলা হয়েছে। সৌরমণ্ডলীতে এলিয়েন জাঙ্ক রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যা এত দিন বিজ্ঞানীরা উপেক্ষা করেছেন। পৃথিবীর চারপাশের অন্তত সহস্র এলিয়েন গ্রহ পৃথিবীর মানুষের জন্ম ও বেড়ে ওঠা পর্যবেক্ষণ করছে। আমাদের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এখনো আশানুরূপ নয়। এলিয়েন এসে পৃথিবীর মানুষ কিডন্যাপ করে নিয়ে যাবার যেসব গল্প মুখে মুখে রটেছে, তা আসলে একধরনের মনুষ্য স্বপ্ন।
১৯ অক্টোবর ২০১৭ একজন কানাডিয়ান নভোচারী রবার্ট ওয়েরিকের টেলিস্কোপে অদ্ভুত একটা কিছু ধরা পড়ে। টেলিস্কোপের রেজল্যুশন সর্বোচ্চ, এর অবস্থান পৃথিবীপৃষ্ঠ থেে দশ হাজার ফুট উপরে। মহাজাগতিক বস্তুকণা, যা পৃথিবীসদৃশ সাধারণত ৪০ হাজার মাইল বেগে ছোটে। কিন্তু ওয়েরিক যা দেখেছেন, তা প্রায় পাঁচ গুণ অধিক গতির, ঘণ্টায় দুই লক্ষ মাইল। এটা কি এলিয়েনদের কোনো বাহন?
শার্লক হোমস বলেছেন, আপনি যখন অসম্ভবকে অপসারণ করবেন, অবশিষ্ট যা থাকবে, অসম্ভব মনে হলেও সেটাই সত্য।
এলিয়েন সত্য। ‘হোমো সেপিয়েন্স’-এর উদ্ভব মাত্র ৩ লক্ষ ১৫ হাজার বছর আাগে আর এলিয়েন ৩ বিলিয়ন বছর আগেকার। কে বেশি বিশ্বাসযোগ্য—মানুষ না এলিয়েন?
আমাদের যেসব এলিয়েন সিনেমা দেখতে হয়, তার বড় অংশই ‘ইনভেশন অব দ্য এলিয়েন’—পৃথিবী অবরুদ্ধ, আক্রান্ত। আমরা কেন এলিয়েনদের বাসভূমি দখলে নিতে পারছি না—কল্পনার দীনতার কারণেই কি!
লেখক :: আন্দালিব রাশদী
Leave a Reply