কক্সবাজার সমাচার ডেস্ক।।
কক্সবাজার নতুন রেলপথ চালুর জন্য কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হলে আগামী ২০ বছর নির্বিঘ্নে ভারী ওজনের রেল ইঞ্জিন চলতে পারবে। আজ সোমবার সকালে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ পরিদর্শন করার সময় এ তথ্য জানানো হয়।
রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের জন্য কালুরঘাট ব্রিজটি অপরিহার্য। এটি অনেক পুরানো ব্রিজ। এখানে রেলপথের সঙ্গে সড়ক যুক্ত হয়েছিল। আমাদের যে ওয়েটের ইঞ্জিন বা লোকমেটিভ ছিল তা ১২ টনের। অনেক ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ব্রিজটি। এ কারণে ব্রিজটির স্ট্রেন্থ (ক্ষমতা) যাতে বাড়ানোর যায় সেটার জন্য আমরা প্রকল্প গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে যার কাজ চলমান আছে। আমাদের পরিকল্পনা বা মূল টার্গেট ছিল ১৫ টনের ইঞ্জিন যাতে চলে। তা চলতে পারবে এবং সেটি আগামী ২০ বছর ঝুঁকিমুক্তভাবে চলতে পারবে।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় মন্ত্রী কালুরঘাট ব্রিজের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পায়ে হেঁটে সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। এরপর ব্রিজের পূর্ব প্রান্তে এসে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ ব্রিজটি বাদ দিয়েও এই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি নতুন একটি ব্রিজের। আমরা আশা করছি সেটির কাজ আগামী বছর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে পারবো। সে ব্রিজে ডাবল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ এবং ফোর লেনের সড়ক থাকবে। এ নতুন ব্রিজ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট ব্রিজটিকে যাতে ব্যবহার করতে পারি সেইভাবে আপডেট করা হচ্ছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২ নভেম্বর চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্রেন দিয়ে ট্রায়াল রান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১২ নভেম্বর উদ্বোধনের পূর্বেই দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ পরিপূর্ণভাবে তৈরি হয়েছে কি না আনুষ্ঠানিকভাবে এবং সরকারিভাবে নিশ্চিত হতে এ ট্রায়াল রান দেওয়া হবে। তার পূর্বে কালুরঘাট ব্রিজে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হয়ে যাবে। হয়তো ছোটকাট কিছু কাজ থাকতে পারে।’
Leave a Reply