অনলাইন ডেস্ক :
বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনাসহ কয়েকটি বিষয়ের তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিল হাই কোর্টের একই বেঞ্চ।
বুধবার ওই মামলায় একটি নতুন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন, এ এম জামিউল হক ফয়সাল, আব্দুল্লাহ আল হাদী, কামরুল হাসান রিগান ও মো. জাকির হায়দার।
অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান রিগান বলেন, “অভিযোগ তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।” বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনাসহ কয়েকটি নির্দেশনা চেয়ে গত ৬ জুন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক ফয়সাল, কামরুল হাসান রিগ্যান ও জাকির হায়দারের পক্ষে রিট আবেদন করেন আব্দুল্লাহ আল হাদী।
এর আগে গত ২১ মে আবেদনকারীদের পক্ষে বিবাদীদের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু করা হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীকে এর আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা রয়েছে।
প্রিপেইড বৈদ্যুতিক মিটার চালু সত্ত্বেও ভোক্তাদের অতিরিক্ত চার্জ ও গোপন চার্জ দিতে হয়; বিদ্যুতের বিল আদায় ব্যবস্থায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। এতে ভোক্তারা নানা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে ব্যাপক অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়গুলার পর্যালোচনা ও সংস্কার প্রয়োজন।
রিট আবেদনে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সচিব, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ডেসকো, ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি ও ডিপিডিসির কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করা হয়েছে।
Leave a Reply