মাসুদ পারভেজ :
প্রতিবছর রপ্তানিযোগ্য চামড়ার ৫০ শতাংশ সংগৃহীত হয় কোরবানির ঈদে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও চামড়া বিক্রি করতে গিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৭ জুন) দুপুর গড়াতেই শুরু হয়েছে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া সংগ্রহ।
এবছর সরকার লবণযুক্ত গরুর কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ করেছে ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট ৫০-৫৫ টাকা। ছাগলের চামড়া ১৮-২০ টাকা। কিন্তু পাড়া-মহল্লা থেকে চামড়া কিনে তা বিক্রি করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। আড়তে আশানুরুপ দাম না পেয়ে লোকসানে হতাশ তাঁরা ।
কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, পাড়া থেকে চামড়া সংগ্রহের পর আড়তদার থেকে কেনা দামই পাচ্ছেন না তারা। আড়তদাররা গরুর চামড়াতে প্রতি বর্গফুটে ২৫ টাকার বেশি দাম দিতে চাইছেন না। আবার সব চামড়াতে এ দামও পাওয়া যাচ্ছে না। লাভ তো দূরের কথা।
তবে আড়তদাররা বলছেন, চামড়ার সঠিক পরিমাপের হিসাব না বোঝার কারণে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন।
প্রতিটি কাঁচা চামড়ায় ৯ থেকে ১০ কেজি করে লবণের প্রয়োজন হয়। সে হিসেবে একটি গরুর কাঁচা চামড়া কেনার পর সেটিকে বিক্রির উপযোগী করতে আরও ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা খরচ হয়। তাই ট্যানারির বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে তার প্রভাব পড়ছে কাঁচা চামড়া কেনার সময়।
চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন জানান, এ বছর সাড়ে ৩ লাখ চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী তিন দিন ধরে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরও বলেন, এবছর গরমের তীব্রতা আগের বছরগুলোর চেয়ে বেশি, যেটা চামড়া সংগ্রহের জন্য অনূকূলে নয়। চামড়া রেখে দিলে খুব তাড়াতাড়ি সেগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া সংগ্রহ করার পর যাতে দ্রুত আড়তে নিয়ে আসেন অথবা লবণ দিয়ে স্থানীয়ভাবে মজুদ করতে করতে হবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের লক্ষ্য জাতীয় সম্পদ চামড়া যাতে নষ্ট না হয়। এজন্য চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আমরা সমন্বয় সভা করেছি। আশা করি কোনো চামড়া নষ্ট হবে না এবার।
Leave a Reply