হামিদা সুলতানা মণি :
পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও নগরের বিভিন্ন স্থানে পশু কোরবানি করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকে বিভিন্ন অলিগলি ও সড়কের একপাশে গরু কোরবানি দেওয়া হয়। অনেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করেছেন। সেখানে পশু কোরবানি করার পর আত্মীয় স্বজন ও গরীব দুখী মানুষের মাঝে মাংস ভাগ করে দিয়েছেন। পরে গ্রাম থেকে ফিরে শহরেও পশু কোরবানি দিয়েছেন। এছাড়া শহরে বিভিন্ন স্থানে ঈদের দিনে কসাই পাওয়া কষ্টসাধ্য। ঝামেলা এড়াতে অনেকে দ্বিতীয় দিন কোরবানি করে থাকেন। এর মধ্যে অনেকে ঈদের দিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান এবং বিশ্রাম নেন বলে পরের দিন কোরবানি দিয়ে থাকেন।
নগরের কল্পলোক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মুমিনুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি বোয়ালখালী উপজেলায়। তিনি বলেন, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি প্রতিবছরই দুটি গরু কোরবানি দিয়ে থাকি। একটি গ্রামের মানুষদের জন্য অন্যটি শহরের আত্মীয় স্বজন ও গরীব দুখীদের জন্য। এবারও আলহামদুলিল্লাহ তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের দিন একটি কোরবানি করে গ্রামের মানুষদের দিয়েছি। আজও একটি গরু কোরবানি দিয়েছি। মাংস এখানকার গরীব দুখী মানুষের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হবে।
কেউ কেউ পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণেও কোরবানি দিচ্ছেন দ্বিতীয় দিন। ইসলামের শরীয়ত মতে, কোরবানির পশু জবাই করার সময় থাকে তিনদিন। হিজরি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি করা যায়। ফলে কোনো কারণে ঈদের দিন কোরবানি করা সম্ভব না হলে, ঈদের পরের দুইদিন পশু কোরবানি করা যায়।
Leave a Reply