অনলাইন ডেস্ক :
পরমাণু বোমা। যার নাম শুনলেই মনের পর্দায় ভেসে ওঠে ধ্বংস আর বীভৎসতার দৃশ্য। ১৯৪৫ সালে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথমবার এই অস্ত্রের ব্যবহার দেখে বিশ্ব।
জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে মাত্র একটি করে বোমা ফেলে আমেরিকা। এতে দুটি শহর মিলে নিহত হয় ২ লাখ ১৪ হাজার মানুষ। আহত হন অন্তত ৯৫ হাজার।
বর্তমানে এ ধরনের ১২ হাজার ৫০০টি পরমাণু বোমা রয়েছে উন্নত ও পরাশক্তির দেশগুলোর হাতে। পরমাণু অস্ত্রের ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে গবেষণা করেন, এমন বিজ্ঞানীরা বলছেন, এতগুলো অস্ত্র দিয়ে পৃথিবীকে অন্তত ১২ বার ধ্বংস করে দেওয়া সম্ভব। পিলে চমকানো এমন তথ্যের পরেও পরমাণু বোমা নিয়ে ভয়ানক খেলায় মেতে আছে ৯টি পরমাণু শক্তিধর দেশ।
নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আলোচনা কিংবা অন্য কোনো অস্ত্রের ওপর নির্ভর না করে গণবিধ্বংসী পরমাণু বোমার ওপরই বেশি আস্থা রাখছে দেশগুলো। যা পৃথিবীর জন্য ধ্বংস ঢেকে আনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
বৈশ্বিক উত্তেজনার মধ্যেই পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী নয় দেশ এরই মধ্যে এই অস্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
সোমবার স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দেশগুলো পারমাণবিক অস্ত্রাগারের আধুনিকীকরণে ব্যয় গত বছর এক-তৃতীয়াংশ বাড়িয়েছে। তাছাড়া গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার অবনতি হয়েছে বলেও তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির গণবিধ্বংসী কর্মসূচির পরিচালক উইলফ্রেড ওয়ান বলেছেন, স্নায়ুযুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পারমাণবিক অস্ত্রকে এত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি।
বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, ভারত, পাকিস্তান, উত্তর কোরিয়া ও ইসরায়েল তাদের পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকীকরণ করেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, বিশ্বে মোট ১২ হাজার ৫০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩২১টি কম। সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য সামরিক বাহিনীর কাছে মজুত আছে প্রায় ৯ হাজার ৫৮৫টি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৯০৪টি মোতায়েন করা রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র ও এয়ারক্রাফ্ট ব্যবস্থায়, যা গত বছরের চেয়ে ৬০টি বেশি।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যাক পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তাছাড়া চীনও কিছু অস্ত্র ব্যবহার উপযোগী করে রেখেছে।
Leave a Reply