অনলাইন ডেস্ক ::
সদ্যঘোষিত অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীন টেলিকমের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কারাদণ্ডের রায় বাতিল করা হয়েছে।
সাজার রায় বাতিল চেয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলেন ড. ইউনূসসহ চারজন। আজ বুধবার সে আপিল শুনানি শেষে সাজা বাতিল করে রায় ঘোষণা করা হয়।
শ্রম আদালতের দেওয়া ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের আপিল চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে বুধবার (৭ আগস্ট) ইউনূসকে খালাস ঘোষণা করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল।
মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন রায়ের বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ রায়ে মোট চারজনকে খালাস ঘোষণা করেছে ট্রাইব্যুনাল।
গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ গ্রামীন টেলিকমের চার কর্মকর্তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন ঢাকার শ্রম আদালত-৩-এর বিচারক মেরিনা সুলতানা।
সেই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়। বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানার স্বাক্ষরের পর ৮৪ পৃষ্ঠার রায় প্রকাশ করা হয়।
সে রায় বাতিল চেয়ে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছিলেন ড. ইউনূসসহ চারজন। আজ বুধবার সে আপিল শুনানি শেষে সবার সাজা বাতিল করে রায় ঘোষণা করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাতে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠক শেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে দেশের বাইরে আছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুবাই থেকে দুপুর ২টায় তার ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বুধবার বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
‘আমাদের কোনো প্রকার ভুলের কারণে আমাদের এ বিজয় যেন হাতছাড়া হয়ে না যায়। আমি সকলকে বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে এবং সব ধরনের সহিংসতা এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ বিনষ্ট করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানাচ্ছি,’ বলেন তিনি।
Leave a Reply