অনলাইন ডেস্ক ::
শিক্ষার্থীদের ত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করার তাগিদ দিলেনড. মুহাম্মদ ইউনূস। যিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে আজ রাতে (বৃহস্পতিবার) শপথ নিতে চলেছেন।
প্যারিস থেকে দেশে ফেরার পর তাৎক্ষণিক বক্তব্যে এ নোবেলজয়ী আশা রাখেন, পুনর্জন্মের বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা যে স্বাধীনতা এনেছেন তার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ১০ মিনিটের দিকে ইউনূস ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় তাকে স্বাগত জানান তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা। এরপর তিনি বিমানবন্দরে কথা বলেন।
দেশের তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস বলেন, ‘তরুণদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এরা এ দেশকে রক্ষা করেছে। তরুণরা দেশকে পুর্নজন্ম দিয়েছে।’
ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে শান্তিতে নোবেলজয়ীর।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আজকে আমার আবু সাঈদের কথা মনে পড়ছে। যে আবু সাঈদের কথা দেশের প্রতিটি মানুষের মনে গেঁথে আছে। আবু সাঈদের গুলি খাওয়ার পর থেকে তরুণরা হার মনেনি। তারা বুক পেতে গুলি খেতে ভয় করেনি।’
তরুণরা এই দেশ স্বাধীন করতে পেরেছে মন্তব্য করে ইউনূস বলেন, ‘তরুণরা এটা (দেশ) মনের মতো করে গড়তে পারবে। তরুণদের মধ্যে যে সৃজনশীলতা রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগাতে পারবে।’
‘তরুণদের দেখে সারা দুনিয়া শিখবে, কীভাবে একটা দেশ একটা তরুণ সমাজ গড়ে তুলতে পারে। এখন আমাদের কাজ হলো তারা যে স্বাধীনতা অর্জন করে নিয়ে এসেছে তা আমাদের রক্ষা করা।’
দেশের মানুষকে তাঁর ওপর আস্থা বিশ্বাস রাখার আহ্বান জানিয়ে বিশ্ববরেণ্য এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘দেশের কোথাও কোথাও হামলা, ভাংচুর হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রের অংশ। আপনারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখুন, দেশের কোথাও কোনো হামলা হবে না।’
‘দমন-পীড়ন নয়, নতুন সরকার দেশের মানুষকে রক্ষা করবে। আমার ওপর আস্থা থাকলে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। এরপরও সহিংসতা হলে মনে করবো আমার কোনো প্রয়োজন নেই।’
Leave a Reply