অনলাইন ডেস্ক :
“হে মহান আল্লাহ/ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
ক্ষমতার পালাবদলে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশের শপথ বাক্যেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর নতুন শপথ বাক্য পাঠের নির্দেশনা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পিটিআইয়ের প্রাত্যহিক সমাবেশকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর নতুন শপথবাক্য পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই শপথ বাক্য পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আগের শপথবাক্য থেকে বাদ পড়েছে বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ গড়ার অংশগুলো।
নতুন শপথ বাক্যটি হল-
“আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব।”
“হে মহান আল্লাহ/ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।”
এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন শপথ বাক্য পাঠের নির্দেশনা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার।
সেই শপথ বাক্যটি ছিল-
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
“আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
Leave a Reply