1. coxsbazarshomachar@gmail.com : admin :

বাংলাদেশের পতাকা ফের খামচে ধরেছে আওয়ামী শকুন: সারজিস আলম

  • পোস্টিং সময় : সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার ও আওয়ামী শকুন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ফের খামচে ধরেছে। তারা বাংলাদেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিতে চায়। এ বিষয়ে তাই সবাইকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।

সারজিস আলম গতকাল রোববার (২৫ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে বিক্ষোভরত আনসার বাহিনীর পোশাক পরা কয়েক হাজার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী পালিয়ে যাবার পর তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

আনসার বাহিনীর পোশাক পরা বিশৃঙ্খলাকারীদের নৈরাজ্য সৃষ্টি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি দিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারের অবসান ঘটিয়েছি। একদিনের জন্যও সচিবালয় ঘেরাও করিনি। কারণ পুরো রাষ্ট্র কাঠামো সচিবালয় থেকেই পরিচালিত হয়। আমরা তাদের সাথে কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। একবার সাতজনের দল নিয়ে এসেছি, একবার ১৭ জনের দল নিয়ে এসেছি। তাদেরকে বলা হয়েছিল তাদের অধিকাংশ দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। আপনাদের দাবিগুলো রাষ্ট্র সংস্কার হওয়ার পর আপনারা জানান। আমরা অবশ্যই শুনবো। তাদের প্রতিনিধিদল যখন আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল, ঐখান থেকে কিছু উসকানিদাতা, আমরা মনে করি তারা ঐ পরাজিত শকুন, যারা কিনা রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা চায় না, ঐসব শকুনরা চায় রাষ্ট্র আবার ঐ ফ্যাসিস্টদের হাতে যাক। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি একটি বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তারা একেক সময়ে একেক পরিকল্পনা করেছে। ছাত্র জনতা প্রত্যেকবার রুখে দিয়েছে। আজকে তারা এখানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে যত উপদেষ্টা ছিলেন কিংবা এই সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আটকে রেখেছিল। আল্টিমেটলি তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রকাঠামোর ফাংশনটিকে বন্ধ করা। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে এই ছাত্র-জনতা আজকে থেকে কয়েকদিন আগেই ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারকে গলা ধরে নামিয়েছে, পতন ঘটিয়েছে, দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। তারা কয়েকশ আর কয়েক হাজার এসে মনে করছে যে ছাত্র-জনতা মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আর যদি সচিবালয়ের আশপাশে এইরকম কোনো নরপিশাচকে আমরা দেখতে পাই, যারা রাষ্ট্রকাঠামোকে ব্যাহত করতে চাইবে, তাদের সচিবালয়ের আশপাশে কোন অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনাদের যদি কোনো দাবি থাকে রাষ্ট্র আগে স্থিতিশীল অবস্থায় আসুক আপনাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে যে লজিক্যাল ওয়েগুলো আছে সেই ওয়েতে আপনারা অ্যাপ্রোচ করুন। পরে যদি আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো না মানা হয়, তাহলে আমরা যারা আছি আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াবো। কিন্তু আজকে যারা এই চক্রান্ত করেছে আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, তারা কেউই আনসার বাহিনীর সদস্য নয়, তারা হলো চক্রান্তকারী। তাদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য যা যা করা দরকার, আমরা তা-ই করবো। যারা আমাদের ভাইদের গায়ে হাত তুলেছে, ওদেরকে যেখান থেকে হোক খুঁজে বের করে ঐ কালো হাতগুলো ভেঙ্গে দেওয়া সরকারের দায়িত্ব, সকলের দায়িত্ব। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলি, তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র-জনতা তাদের খোঁজে সবসময় সজাগ থাকবে।’

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ কক্সবাজার সমাচার
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!