নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দীর্ঘ ৯ বছর ভারতে নির্বাসন জীবন কাটানোর পর সম্প্রতি দেশে এসেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। দেশে ফেরার আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) কক্সবাজার আসছেন তিনি। এ উপলক্ষ্যে পুরো কক্সবাজারসহ নিজ নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া-পেকুয়া পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। আগমন পথে অসংখ্য শুভেচ্ছা তোরণ নির্মাণ করে এলাকার মানুষ ভালবাসার প্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।
সালাউদ্দিন আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী ছফওয়ানুল করিম জানান, বুধবার সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে বিমানযোগে কক্সবাজার অবতরণ করবেন কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ।
এরপর কক্সবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় যোগদান ও পুড়িয়ে দেওয়া জেলা বিএনপি কার্যালয় পরিদর্শন করবেন তিনি। বেলা দুইটার পরে চকরিয়া পৌর বাস টার্মিনাল মাঠে যোগ দেবেন চকরিয়া বিএনপি আয়োজিত আরেকটি বিশাল সংবর্ধনা সভায়। পরে বিকেল ৪ টায় চৌমুহনী চত্বরে যোগ দেবেন পেকুয়া বিএনপি আয়োজিত অপর একটি অনুষ্ঠানে। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে শহিদ ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের কবর জিয়ারত ও স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
এদিকে দীর্ঘ ৯ বছর পর নিজ এলাকায় আগমনকে ঘিরে জেলা শহর ছাড়াও চকরিয়া-পেকুয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকশত শুভেচ্ছা তোরণ। নেতাকর্মীদের রঙিন ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো চকরিয়া-পেকুয়া। তার আগমণী বার্তায় দলীয় নেতাকর্মীরা মাঝে আনন্দে আত্মহারা । পাড়া-মহল্লা সর্বত্র এই প্রিয় মানুষটির আগমন ঘিরে তুমুল আলোচনা চলছে।
অত্রাঞ্চলের মানুষের ধারণা, চকরিয়া ও পেকুয়ার পৃথক সংবর্ধনায় স্মরণকালের বৃহত্তম জনসমাগম হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ চকরিয়া-পেকুয়া আসনের দুইবারের এমপি ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। পরে তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট হাসিনা আহমদও এমপি নির্বাচিত হন।
সরকার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব সালাহউদ্দিন দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালের ১০ মে রাজধানীর উত্তরা একটি ভবন থেকে সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গুম হন। দীর্ঘ ৬১দিন গুম থাকার পর ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ কোর্স ময়দানে ভারতের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হন তিনি।
দীর্ঘ সময় পরে আল্লাহর অশেষ রহমতে নিজ এলাকায় ফিরে আসা প্রিয়জনকে একনজর দেখার জন্য কক্সবাজার থেকে চকরিয়া পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে মানুষ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে আমজনতার আনাগোনা বুধবার সকাল থেকেই বৃদ্ধি পেয়েছে।
Leave a Reply