নিজস্ব প্রতিবেদক :
চকরিয়ায় বিএনপির মিছিলে গুলি, লাঠিপেটা এবং দলীয় অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনা দু’টি সংঘটিত হয়েছিল বিগত ২০০৯ ও ২০১৩ সালে।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুই বিএনপি নেতা বাদী হয়ে এ মামলা দু’টি করেন। মামলা দু’টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কক্সবাজার পিবিআইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক মামলায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ ২১ জনকে অভিযুক্ত করে এবং অপর মামলায় চকরিয়া থানার তৎকালীন দুই ওসি ও দুই এসআইকে আসামি করা হয়েছে।
এরমধ্যে একটি মামলার বাদী চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা যুবদল নেতা মোহাম্মদ জকরিয়া। অপরটির বাদী উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোণা এলাকার বাসিন্দা আল কুয়াছ।
মোহাম্মদ জকরিয়ার আইনজীবী গোলাম সরওয়ার জানান, গত ২০১৩ সালে ৯ এপ্রিল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে চকরিয়া পৌরশহরে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে বিএনপি-যুবদলের মিছিলে হামলা করে। এ সময় মামলার বাদী মোহাম্মদ জকরিয়াসহ বিএনপি-যুবদলের একাধিক নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ লাঠিপেটায় আহত হন। ঘটনার ১১ বছর পর চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মোহাম্মদ জকরিয়া মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি জাফর আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুজিবুল হক, চকরিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত বডুয়া, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নিয়ামত উল্লাহ, এসআই রুহুল আমিন, এসআই মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে।
অপর মামলায় ২০০৯ সালে ১৪ জুন উপজেলা চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপি নেতা আল কুয়াছ বাদী হয়ে জাফর আলমসহ আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাকিম মামলা দু’টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য কক্সবাজার পিবিআইকে নির্দেশ দেন।
Leave a Reply