বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের প্রাণপুরুষ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর মানুষ যখন তাঁকে ফিরে পেয়ে আনন্দে-আবেগে উদ্বেলিত, তখন কতিপয় প্রতারক তাঁর নাম ব্যবহার করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রতারণার অপচেষ্টা করছে। এখন পর্যন্ত এমন দু’জন প্রতারকের সন্ধান মিলেছে। তাদের একজন আরিফ মঈনুদ্দিন, অন্যজন আবদুল কাইয়ুম ছোটন। এদের মধ্যে আরিফ মঈনুদ্দিন ‘নিজেকেই’ সালাহউদ্দিন আহমদ বানিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সাইবার আদালতের এক বিচারকের সাথে প্রতারণার চেষ্টা করেছে।
এমন বিব্রতকর ঘটনায় সালাহউদ্দিন আহমদ রাজধানীর গুলশান থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এখন পর্যন্ত যে দু’জন প্রতারকের সন্ধান পাওয়া গেছে তারা দুজনই সালাহউদ্দিন আহমদের নির্বাচনী এলাকা চকরিয়া ও পেকুয়ার বাসিন্দা। প্রতারক আরিফ মঈনুদ্দিনের বাড়ি চকরিয়া পৌর এলাকার কাহারিয়াঘোনার মগবাজার মাষ্টার পাড়ায়। তার বাবার নাম নুর মোহাম্মদ বিএসসি।
আরেকজন প্রতারক আবদুল কাইয়ুম ছোটন পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নের কাচারীমুরা এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম আলতাজ মিয়া।
সুত্র মতে, প্রতারক আরিফ মঈনুদ্দিন মেসেঞ্জার অ্যাপ ‘হোয়াটসঅ্যাপে’ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের নাম সেট করে সরকারের আইন মন্ত্রণালয়ের আইন সচিবকে ফোন করে নিজে অভিযুক্ত একটি সাইবার আইনের মামলা ‘প্রত্যাহারের নির্দেশ’ দেয়। একই ভাবে সাইবার আদালতের এক বিচারককে ওই একই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার থেকে মেসেজ দিয়ে তার পক্ষে ওই মামলার রায় দেয়ার ‘নির্দেশ’ দেয়!
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরিফ মঈনুদ্দিন নামের এই প্রতারক পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজির আহমেদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিল এবং সেই অভিযোগে সাইবার আইনের মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়েছিল।
দেশের পটপরিবর্তনের সুযোগে দেশের আলোচিত ও জনপ্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের নাম ব্যবহার করে ভয়ানক প্রতারণা করে বেড়াচ্ছিল।
অপরদিকে দীর্ঘ ১০ বছর দুইমাস ১৪ দিন পর কক্সবাজার এসে সালাহউদ্দিন আহমদ লাখ লাখ মানুষের গণসংবর্ধনা নিয়ে পেকুয়ার নিজের বাড়িতে ফিরেন গত ২৮ আগষ্ট। ওই সুযোগে সালাহউদ্দিন আহমদের অগোচরে তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে ‘সালাহউদ্দিন আহমদের পিএস অথবা কাছের লোক’ পরিচয় দিয়ে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজনের সাথে প্রতারণা করছে আবদুল কাইয়ুম ছোটন।
সালাহউদ্দিন আহমদের ঘনিষ্ট সুত্র জানিয়েছেন, ওই প্রতারককে তারা চেনেন না। তার সাথে তাদের ন্যুনতম কোন সম্পর্ক নেই। ওই ব্যক্তি সালাহউদ্দিন আহমদের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন প্রতারণা করলে স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এসব ঘটনায় বিব্রত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন। সাধারণ ডাইরিতে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরে ভবিষ্যতের যে কোন অনাকাংখিত ঘটনার জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীকে জানিয়ে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করেন।
কক্সবাজারের রাজনীতির প্রাণের মানুষ সালাহউদ্দিন আহমদ এই ধরণের বিব্রতকর ও প্রতারণামূলক কর্মকান্ড থেকে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন। তিনি কক্সবাজার জেলাবাসিসহ পুরো দেশবাসিকে এই ধরণের প্রতারকদের আইনের হাতে তুলে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply