জিয়াউল হক জিয়া :
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বাস-স্টেশনের দক্ষিণে কবরস্থান সংলগ্ন গোলাম ছোবহান মার্কেটের নুরা টেলিকম সেন্টার নামক বিকাশ,নগদ,ও রকেট ব্যবসায়ীর দোকান থেকে পরিকল্পিত ভাবে তালা ভেঙ্গে নগদ ২লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে যান সংঘবদ্ধ চোর সিন্ডিকেটের লোকেরা।
ঘটনা গত ৯ অক্টোবর (বুধবার) মাগরিবের নামাজের সময় র্দুঘটনা ঘটেছে।পরে খবর পেয়ে ছুটে যান পরিচিত স্হানীয় দুইজন সংবাদকর্মী।এমন সময় সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে তারা চোর চিনেন বলে তারাও নিল ৮হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী দোকান নুর মোহাম্মদ (৩০) ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া গ্রামের নুর আলমের ছেলে।
তিনি আক্ষেপ করে জানান-গত ৯ অক্টোবর বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের সময় নেভিব্লু রংয়ের শার্ট পরিহিত আনুমানিক ২৪বছর বয়সী এক লোক আমার দোকানে এসে বলে আমার বিকাশ এজেন্টে কিছু টাকা আসবে।তা বলার পর ছেলেটি ঘুরাফিরা করতে থাকে।এমতাবস্থায় মাগরিবের আজান দিলে,প্রতিদিন ন্যায় আমি ক্যাশ তালা বদ্ধ করে মসজিদে নামাজ পড়তে যায়।নামাজ শেষে এসে দেখি ক্যাশ খোলা।তখন চেক করে দেখলাম,আমার ব্যবসার সবটাকা নিয়ে ছেলেটি উধাও।পরে পাশ্ববর্তী সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে ছবি বের করি।তারপর চকরিয়া থানায় গিয়ে একটি ২/৩জন লোককে অজ্ঞাত দিয়ে এজাহার দায়ের করি।কিন্তু এখনো কোন খদিজ বা প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলাম না।
আমার ব্যবসার টাকা হারানোর টেনশনে পরিচিত স্হানীয় দুইজন সংবাদকর্মী এসে চোরের ভিডিও ফুটেজ দেখে বলেন,আমরা তাকে চিনি,কৌশলে তাকে ধরতে সোর্স মানি দিতে হবে।তার জন্য টাকার প্রয়োজন বলে তারাও নগদ ৮ হাজার টাকা নিয়ে উধাও। তাদেরও দেখা নেই।ফলে আমাকে টাকা হারানোর ব্যথার ওপর ব্যথা দিল ওই সংবাদকর্মী। এখন মনে হচ্ছে তারাও দোকান চুরি করা লোকের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আমি প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছেন বলে জানান ব্যবসায়ী নুর মোহাম্মদ।
Leave a Reply