জিয়াউল হক জিয়াঃ
দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের ফলে সকালে ফুটপাত উচ্ছেদ করলেও বিকেলে ফের ফুটপাত ভাসমান দোকানের জট হয়ে থাকা চির-চেনা চকরিয়া পৌর শহরটি হয়ে যেতো জটের পৌর-শহর।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চকরিয়া পৌর-শহরের দীর্ঘদিনের দখলদারিত্ব অবৈধ ফুটপাতের প্রায় সাড়ে তিন-শতাধিক দোকান উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেন-উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ভারপ্রাপ্ত পৌর-প্রশাসক মোঃ ফখরুল ইসলাম, উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ এরফান উদ্দিন ও পৌর-সচিব মাসউদ মোরশেদ।
উচ্ছেদের সময় হ্যান্ড-মাইক দিয়ে স্হায়ী ব্যবসায়ী,ফুটপাত ব্যবসায়ী সহ সকলের অবগতির উদ্দেশ্য বলেন- এই পৌর-শহরস্হ বিভিন্ন মার্কেটের সামনে ও সড়কের ওপর ফুটপাত বসিয়ে জট সৃষ্টি করেছেন। তাই থানা রাস্তার মাথা থেকে পুরাতন বাস-র্টামিনাল সহ কাঁচাবাজার সড়ক, হাসপাতাল সড়ক, ওয়াপদা সড়ক ও মহাসড়কের পূর্বপাশ থেকে প্রায় তিন-শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছি। তাই ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে বলছি, যে মার্কেটের যে দোকানের সামনে ফুটপাতের দোকান বসবে তারা দায়ী থাকবেন। উপজেলা ও পৌর-প্রশাসক যৌথভাবে অভিযান করে মালামাল সহ নিয়ে গিয়েও ফুটপাত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও স্হায়ী মার্কেটের ব্যবসায়ীকেও বসার সুযোগ দেওয়ার কারণে জরিমানা করা হবে।
তাছাড়া ব্যবসায়ীদপরকে সকাল ৮থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বড় গাড়ি থেকে মালামাল আনলোড করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেন। অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বৈষম্য বিরোধী বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধ পরিকর। সড়কের শৃঙ্খলা, মার্কেটের ফুটপাত ও যানজটমুক্ত রেখে নিরাপদ পৌর-শহর গড়ার সহায়তায় এগিয়ে আসুন। এই ফুটপাত দোকানের জটের ফলে পৌর-শহরে আসা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ছিনতাইয়ের শিকার হয়, আর যেন এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে লক্ষে পৌর-প্রশাসন অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
এসময় কর্মকর্তা ও বিপুল সেনাবাহিনীর সদস্য,পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্য এবং আনচার,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র-জনতা,সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু বেপরোয়া ভাসমান ভ্যান ব্যবসায়ীরা অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সন্ধ্যায় মহাসড়কের দুইপাশে ডজনখানিক দোকান বসিয়ে ফের সড়ক দখল, যানজট সৃষ্টি করেছেন।সচেতন মহল ও সংবাদকর্মীদের প্রশ্ন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি?
Leave a Reply