অনলাইন ডেস্ক :
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সাড়ে তিন বছর পর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে নির্বাচিত মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন শপথ নিয়েছেন। রবিবার তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শপথ অনুষ্ঠান শেষে জুলাই আন্দোলনে হতাহতদের স্মরণ করে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ‘এ শপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিপ্লবোত্তর সময়ে এ শপথ অনুষ্ঠিত হলো।’
শপথ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে মন্তব্য করেন। চট্টগ্রামকে গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি করা তার নির্বাচনী ইশতেহার ছিল জানিয়ে সেসব বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাওয়ার ঘোষণা দেন নতুন এই মেয়র।
সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি মেয়রের শপথ গ্রহণের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি ভূমিকা রাখবেন, এটাই প্রত্যাশা।
উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা গ্রিন চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।…বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে দেখতে চাই। আমি মনে করি, এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের। আমাদের প্রত্যাশা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।
শপথ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা যায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি- এসব আমার নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।’
মেয়র শাহাদাতের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী জয়লাভ করেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
পরে একই সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চসিক নির্বাচনে কারচুপি ও ফল বাতিল চেয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন কমিশনারসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
সরকার পরিবর্তনের পর গত ১ অক্টোবর সেই মামলার রায়ে শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন।
Leave a Reply