জিয়াউল হক জিয়া:
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের,ফুলছড়ি ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জাধিন সিএমসি,সিপিজ,এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিমের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত হাতি মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে সিপিজি সদস্যদের মাঝে পাহারা উপকরণ ও ভিসিএফ এর মাঝে ফলজ গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের মেদাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যান সহ-ব্যবস্হাপনা অফিসে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা হুমায়ূন আহমেদর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের,বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ মারুফ হোসেন,বিশেষ অতিথি ছিলেন,ডিপিডি,নেকম ইকো লাইফ প্রকল্পের ড.শফিকুর রহমান,সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শীতল পাল ও ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মেহরাজ উদ্দিন।
বক্তারা বলেন- হাতি বনের ইঞ্জিনিয়ার। সুতরাং হাতি করলে সংরক্ষণ,বাঁচবে বন শ্লোগানের আলোকে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। কারণ হাতি ইচ্ছে করে কোন মানুষ বা কোন ক্ষেত-খামারের ক্ষতি করে না বিধায় হাতি দেখে আতংকিত না হয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খবর দিব। যাতে করে লোকালে আসা হাতিকে তাদের স্ব-স্হানে নিরাপদে ফিরিয়ে দিতে পারে। কেননা আমরা বন্যা,জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচতে উপকূলীয় অঞ্চল ছেড়ে হাতি বিচরণ এলাকায় এসে বসবাস করছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএফও মোঃ মারুফ হোসেন বলেন-কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগে পাঁচটি হাতি বিচরণের স্পষ্ট রয়েছে। তৎমধ্য এখানে দুইটি। তাই আমরা বন রক্ষার ক্ষেত্রে বনবিভাগকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করার লক্ষে আপনাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুতরাং আমরা বনের ক্ষতিকর কোন কাজে লিপ্ত হবো না,কেউ করলে তা বাঁধা সহ বনবিভাগকে জানিয়ে প্রতিরোধ করবো। এছাড়াও হাতি সহ বন্যপ্রাণীকে আঘাত বা হত্যা থেকে বিরত থাকবো, এলাকাবাসীকে এবিষয়ে সচেতন করবো। তাছাড়া হাতি কোন কারণবশত: কোন ক্ষেত-খামারের ক্ষতি করলে বা কোন ব্যক্তিকে আহত,নিহত করলে এর ক্ষতিপূরণ দিবে বনবিভাগ।তবুও হাতিকে আঘাত কিংবা হত্যা করা যাবে না। যদি কেউ হত্যা করে বা আঘাত করে,তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা সহ জেল-জরিমানা দিতে হবে। সুতরাং আমরা বন রক্ষা করবো,মানুষ হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে সচেতনতা বৃদ্ধি করবো।
অনুষ্ঠানে দুই রেঞ্জের বিটকর্মকর্তা,সিএমসি,সিপিজ ও ভিসিএফের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি-ইউএসএইড এর ইকো লাইফ কার্যক্রম ও নেকম এর সহযোগিতায় আয়োজন করা হয়েছে।
Leave a Reply