জিয়াউল হক জিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে সীমানা প্রাচীর নিয়ে একই গোষ্ঠীর পাল্টাপাল্টি হামলায় নারী-পুরুষ মিলে ৫জন লোক গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে খুটাখালী ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডের সিকদার পাড়ায় এঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহতরা হলেন-ওই এলাকার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে রিদওয়ানুল হক রেজু (৩৫) তার স্ত্রী দিল বাহার বেগম(৫৬), তার মেয়ে রুজিনা আকতার(৩০), রিদওয়ানুল হকের স্ত্রী রায়হানুল আকতার(২৫)।
হামলাকারীদের মধ্যে গুরুতর আহত হলেন- গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর আকতার(৩৫)।
হামলার শিকার রিদওয়ানুল হক জানান-আমার পিতামহ থাকাকালীন আমাদের বসতভিটা বন্টনে এই পর্যন্ত সীমানা নিয়ে আমার পিতাসহ আমরা সকলই বসবাস করে আসছি।কিছু দিন আগে আমার চাচাতো ভাই গিয়াস উদ্দিন আমার বসতভিটার ভিতরের জায়গা অযৌক্তিভাবে দাবী করে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দের কাছে বিচার দেন। পরে বৈঠকে বিচারকের কথায় সে রাজি না হওয়ায় শালিসী ফায়সালা হয়নি। হঠাৎ বুধবার সকালে আমরা দুইভাই বাড়ীতে নেই জেনে তারা পরিকল্পিতভাবে ছাবের আহমদের ছেলে গিয়াস উদ্দিন,শাহাব উদ্দিন ও রশিদ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম,সাইফুল ইসলাম,জসিম উদ্দিন এবং শহর মল্লুকের ছেলে ফয়েজ আহমদ,শাহ আলম,শাহ আলমের ছেলে মোর্শদ আলম,গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন,শাহেদ গংরা সকাল ৬টার পরে বাড়ীতে ঢুকে ভাংচুর আর লুটপাট করেছে। তারা নগদ টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে যায়। তাছাড়া তারা আমার বাড়ীর পূর্ব পাশে ইটের দেওয়াল দ্বারা নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে। পুলিশ এসেও তাদের হামলা থামাতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।এসময় তারা আমাদেরকে ইট পাটকেল মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত গিয়াস উদ্দিন জানান- আমাদের বসতভিটা জায়গা উদ্ধারের জন্য বিচার দায়ের করি।এমতাবস্থায় আমি বিদেশ চলে গেলে রিদওয়ানুল হক তার ভাই-বোনদের নিয়ে জায়গাটিতে দেয়াল দিয়ে ফেলে। পরে আমি এসে তা পরিমাপ করে জায়গা বের করতে বিচার দিলেও সে বিচার না মানায় আমরা বিচারকের কথামত দেয়াল ভেঙ্গে ফেলেছি। এসময় তারা পাল্টাপাল্টি হামলা করলে দু’পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে।
চকরিয়া থানার এসআই রাজীব কুমার সাহ জানান-৯৯৯ নাম্বারে ফোনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আমাদের দেখে অভিযোগকারীর ছোট ভাই মিজান দৌড়ে বাড়ীর পিছনে গিয়ে অভিযুক্তদের গায়ে ভাঙ্গা ইট ছুটে মেরেছে। তার পিছনে-পিছনে আমরা দৌড়ে যাই। তখন অভিযুক্তরা একঝাঁক নারী-পুরুষ মিলে তারাও ইট পাটকেল মারা শুরু করেছে। কোন মতই তাদেরকে নিষেধ করে রাখতে পারিনি।এসময় আমার গায়েও ছুটা ইট পড়েছে।এমতাবস্থায় রিদওয়ান সহ তারা কয়েকজন রক্তাক্ত আহত হয়।অপরপক্ষের এক নারীও আহত হয়েছে।পরে তাদেরকে থামালেও গিয়াস উদ্দিনের রিয়াজ উদ্দিন আমাদের সাথে আচারণ খারাপ করেছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply