নিজস্ব প্রতিবেদক :
সমাজে নারীর অবদান প্রতিনিয়তই আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তাঁদের প্রচেষ্টা, সাফল্য এবং সংগ্রামের গল্প আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ ডিসেম্বর) এবং বেগম রোকেয়া দিবস (৯ ডিসেম্বর) পালন উপলক্ষে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কর্তৃক “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” শীর্ষক বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় “সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবধান রেখেছে যে নারী” ক্যাটাগরীতে চকরিয়া উপজেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে ভূষিত হয়েছেন চকরিয়া হস্তশিল্প ও দেশীয়পণ্য উৎপাদনমূখী সমবায় সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এপে. শারমিন জান্নাত ফেন্সী।
১০ ডিসেম্বর দুপুরে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান এর কাছ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সম্মাননা পত্র গ্রহণ করেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা শারমিন জান্নাত ফেন্সি। এসময় উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোঃ রমিজ উদ্দিন, সহকারী সমবায় কর্মকর্তা তপন কান্তি দাশ, উপজেলা তথ্য আপা ও মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের মোঃ নুরুল ইসলামসহ নারী উদ্যোক্তাগণন উপস্থিত ছিলেন।
শারমিন জান্নাত ফেন্সি জানান, এই অর্জন তাঁর কঠোর পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস এবং অবিচল মানসিকতার একটি মাইলফলক।
জয়িতা পদক প্রাপ্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। তাঁর এই অর্জন নারীদের ক্ষমতায়ন এবং তাঁদের সাফল্যের উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে।
হস্তশিল্প সংগঠনের সম্পাদক নারী উদ্যোক্তা ইসরাত হোসাইন এলি বলেন, সংগঠনের সভাপতি শারমিন জান্নাত ফেন্সি আপুর প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা ও অভিনন্দন। তাঁর এই সফলতার পথচলা যেন আরও দীর্ঘ হয় এবং তিনি আরও বড় উচ্চতায় পৌঁছাতে পারেন। তাঁর এই অর্জন আমাদের সকলের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ -২৪ এ অন্যান্য ক্যাটাগরীতে জয়িতা পদকে ভূষিত হলেন – অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী – পৌরসভার ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর রাশেদা বেগম।
“শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী” – উপজেলার সাহারবিলের বাসিন্দা চট্টগ্রাম ম্যাথ ম্যানিয়ার পরিচালক আসমাউল হোসনা, তিনি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রীধারী।
“সফল জননী” – ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকার আবদু ছবুরের মেয়ে রাহেলা বেগম ও “নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে জীবন শুরু করা নারী” লক্ষ্যাররচরের নুর মোহাম্মদ মানিকের স্ত্রী রুনা আকতার।
Leave a Reply