1. coxsbazarshomachar@gmail.com : admin :
সদ্য পাওয়াঃ

উচ্ছেদের পর ফের বনভূমিতে ঘেরাবেড়াঃ নীরব বিট কর্মকর্তা

  • পোস্টিং সময় : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫

জিয়াউল হক জিয়া : কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জাধিন খুটাখালী বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বনভূমিতে করা রোহিঙ্গা আব্দুল্লা মোঃ হারেছ এর ঘরসহ টিনের ঘেরাবেড়া গত ১৩ জানুয়ারী সকাল ১০টায় উচ্ছেদ করেন সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ। উচ্ছেদের কয়েকদিন পরে ফের টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে ভিটি সংরক্ষণ করা হলেও নীরব রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা।

খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাগাইন্না পাড়ায় আসা রোহিঙ্গা জাফর আলমের ছেলে রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ মোঃ হারেছ।তাকে অবৈধভাবে ঘর করার জন্য সহযোগিতা করছেন ওই এলাকার বনখেকো নামে পরিচিত মোঃ ফারুক ও ওবাইদুল্লাহ।

গত ১৩ জানুয়ারী অবৈধ বসতঘর ও ঘেরা-বেড়া উচ্ছেদে নেতৃত্ব দেন সহকারী বনসংরক্ষক ও ফুলছড়ির ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা রাশিক আহসান।

উচ্ছেদ করার সময় রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট স্টাফরা ঘেরাবেড়া ও টিনের ছাউনির ঘরটি ভেঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে দিলেও পশ্চিম পাশের ঘেরাবেড়া না ভেঙ্গে চলে আসেন। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে ফের চর্তুপাশে টিনের ঘেরাবেড়া দিয়ে ঘর বানানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়টি দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিট কর্মকর্তা এসব দেখেও না দেখার ভান করে আছেন বলে অভিযোগ ।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানান-আরেক রোহিঙ্গা আবুর কাশেমের স্ত্রী রোহিঙ্গা রিজওয়ানারা বনভূমিটি প্রায় ৫লাখ টাকায় বিক্রি করেছে তাদের আত্মীয় রোহিঙ্গা আব্দুল্লাহ মোঃ হারেছকে।এলাকাটারে রোহিঙ্গা পল্লী বানাতে চাচ্ছেন বনখেকো মোঃ ফারুক আর ওবায়দুল্লাহ। তাদের বিরুদ্ধে বন মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

বিট কর্মকর্তা নাজমুল জানান-গত ১৩ জানুয়ারী টিনের ঘেরাবেড়া সহ বাড়ীটি উচ্ছেদ করেছি। পরে মামলাও দিয়েছি, এখন আর কি করবো বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

ফুলছড়ির সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শীতল পাল বলেন-উচ্ছেদের পরও যদি সেখানে কাজ করা হলে আবারো উচ্ছেদ করে প্রয়োজনীয় কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ কক্সবাজার সমাচার
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!