মোঃ নাজমুল হুদা, লামাঃ বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী কাটাবিল এলাকায় রাতের আধাঁরে একটি নিরীহ পরিবারের বসত ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা! মোটর সাইকেলযোগে এসে ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে আগুনে মহিলার বসত ঘর ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত সুফিয়া বেগম পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর রাতে আনুমানিক সোয়া ২ টার দিকে ৫থেকে ৬জনের একদল দুর্বৃত্ত সুফিয়া বেগম (৬০) ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে ঘরে আগুন দেখে সুফিয়া বেগম আত্মচিৎকার স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যেই বাড়ি সব কিছুই আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
এদিকে ঘরে লাগিয়ে দেয়া আগুনে বসত ঘরটি অনায়াসে পুড়ে ছাই হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই আগুনে সব ভস্মীভূত হয়! বর্তমানে ছোট ছোট শিশু, মহিলা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে অসহায় পরিবারটি। এদিকে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ভোক্তভোগী।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাটা বিল (৩ নং ওয়ার্ড) এলাকার গ্রামের সুফিয়া বেগম স্বামী আব্দুল সাত্তার গং সঙ্গে বসতবাড়ির জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছে। মামলাও চলমান রয়েছে।
সেখানে সুফিয়া বেগম এর স্বামী আব্দুল সাত্তার নামে ২৮৬ নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার (ভাসমান) আর/২৩ হোল্ডিং এ ৫.০০ (পাঁচ) একর ২য় ও ৩য় শ্রেনীর জায়গা তৌজিভূক্ত আছে। ১৯৮২-৮৩ ইং সনের ৫৫৭৬ নং বন্দোবস্তী মূলে সরকার বাহাদুর হইতে প্রাপ্ত হইয়া বিগত ০১.০৭.১৯৮৩ ইং হইতে খাজনা পরিশোধ করিয়া তথায় তফশীলভূক্ত জায়গা ঘরবাড়ি, বাগবাগিচা সৃজন করিয়া সুদীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বজায় রাখিয়া স্থায়ীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
সেক্ষেত্রে তাদের জায়গা ও বাগবাগিচার উপর দূলোভে বশিভূত হইয়া কিছু প্রভাবশালী লোক প্রায় সময় জায়গা দখল করার পায়তারাসহ ভীতিগ্রস্ত করে আসছে প্রতিপক্ষদের। সেই থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে জায়গা ঘরবাড়ি সৃজিত বাগান বাগিচা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভীতিগ্রস্ত ও হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন, ছিদ্দিক আহমদ জানান, আগুন দেখে আমরা এগিয়ে আছি এবং বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
এ বিষয়ে লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা এখনো পুড়ার বিষয়ে জানি না জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব বলেন, আমরা খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতি সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ে গেল অসহায় পরিবারের বসতঘর
মোঃ নাজমুল হুদা, লামাঃ বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী কাটাবিল এলাকায় রাতের আধাঁরে একটি নিরীহ পরিবারের বসত ঘর আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা! মোটর সাইকেলযোগে এসে ঘরে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে আগুনে মহিলার বসত ঘর ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত সুফিয়া বেগম পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোর রাতে আনুমানিক সোয়া ২ টার দিকে ৫থেকে ৬জনের একদল দুর্বৃত্ত সুফিয়া বেগম (৬০) ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে ঘরে আগুন দেখে সুফিয়া বেগম আত্মচিৎকার স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। এর মধ্যেই বাড়ি সব কিছুই আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়।
এদিকে ঘরে লাগিয়ে দেয়া আগুনে বসত ঘরটি অনায়াসে পুড়ে ছাই হয়। আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই আগুনে সব ভস্মীভূত হয়! বর্তমানে ছোট ছোট শিশু, মহিলা নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে অসহায় পরিবারটি। এদিকে এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান ভোক্তভোগী।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাটা বিল (৩ নং ওয়ার্ড) এলাকার গ্রামের সুফিয়া বেগম স্বামী আব্দুল সাত্তার গং সঙ্গে বসতবাড়ির জমির মালিকানা নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বিরোধ চলে আসছে। মামলাও চলমান রয়েছে।
সেখানে সুফিয়া বেগম এর স্বামী আব্দুল সাত্তার নামে ২৮৬ নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার (ভাসমান) আর/২৩ হোল্ডিং এ ৫.০০ (পাঁচ) একর ২য় ও ৩য় শ্রেনীর জায়গা তৌজিভূক্ত আছে। ১৯৮২-৮৩ ইং সনের ৫৫৭৬ নং বন্দোবস্তী মূলে সরকার বাহাদুর হইতে প্রাপ্ত হইয়া বিগত ০১.০৭.১৯৮৩ ইং হইতে খাজনা পরিশোধ করিয়া তথায় তফশীলভূক্ত জায়গা ঘরবাড়ি, বাগবাগিচা সৃজন করিয়া সুদীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বজায় রাখিয়া স্থায়ীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
সেক্ষেত্রে তাদের জায়গা ও বাগবাগিচার উপর দূলোভে বশিভূত হইয়া কিছু প্রভাবশালী লোক প্রায় সময় জায়গা দখল করার পায়তারাসহ ভীতিগ্রস্ত করে আসছে প্রতিপক্ষদের। সেই থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে জায়গা ঘরবাড়ি সৃজিত বাগান বাগিচা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভীতিগ্রস্ত ও হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নুর হোসেন, ছিদ্দিক আহমদ জানান, আগুন দেখে আমরা এগিয়ে আছি এবং বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অসহায় পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
এ বিষয়ে লামা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, আমরা এখনো পুড়ার বিষয়ে জানি না জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) রুপায়ন দেব বলেন, আমরা খবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রতি সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।
Leave a Reply