জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পুরাদিয়া -বনকানন সড়কটির ভগ্নদশা দৃশ্যপট যেন উপজেলাজুড়ে দেখার কেউ নেই!সড়কে নেই ইট,বালি,আছে কাঁদায় ভরা মাটি।সংস্কারহীন এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে পুরাদিয়া, ছনখোলার জুম, মৌলভী হাসানের জুম,গর্জনিয়া পাড়া, বড়পাড় ও বনকানন বাজারসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ। এছাড়াও ৩, ৪, ৫ ও ৭নং ওয়ার্ডের প্রায ১০/১৫ হাজারের বেশি লোকজন চলাচলের নির্ভরশীল সড়কটি যেন আজ মৃত্যুকূপে পরিণত।
বর্ষা মৌসুমে এই সড়ক রূপ বদলীয়ে জলকাদার এক কাঁদারঝট।স্কুল,করেজ,মাদ্রাসা,প্রসূতি,বয়োবৃদ্ধ,রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের পোহাতে হচ্ছে চরম র্দূভোগ।গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক দিয়েই চলাচল করে আহলিয়া ইসলামীয়া বালিকা মাদরাসা, টইটং আরবীয়া জামেউল উলুম মাদরাসা, টইটং উচ্চ বিদ্যালয়, ইকরা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আল হেরা মডেল একাডেমি এবং টইটং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে এলাকাবাসী অপারগ হয়ে অবশেষে আর মানববন্ধন করেন।সড়ক নিয়ে ভুক্তভোগী জনগণের দাবী,অনতি বিলম্বে সড়ক সংস্কার করে জনর্দূভোগ লাগাব করুণ।সড়কের দুর্দশার চিত্র স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার না মিলার কথা উল্লেখ করেছেন।
মানববন্ধনে এসব বক্তব্য রাখেন, পুরাদিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আতাউল করিম, সিরাতুল মুস্তাকিম ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মাওলানা রহিম উল্লাহ, মুখ্যপাত্রমাওলানা এরশাদ কামাল, শিক্ষক রহমত উল্লাহ, শের-এ বাংলা মেডিকেল কলেজ এর
শিক্ষার্থী এম সায়েম খান, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজবাহ উদ্দিন আসিফ, আব্দুল তুহিন প্রমুখ।
পুরাদিয়ার বাসিন্দা মনজুর আলম বলেন, পুরাদিয়া থেকে হাজিবাজার হেঁটে গেলে লাগে ১০ মিনিট, কিন্তু রাস্তার কারণে ঘুরে বনকানন হয়ে যেতে লাগে ১ ঘণ্টা!
আরেক বাসিন্দা মনির আহমদ জানান, ১০ বছর আগে রাস্তার কিছু অংশে ইট ছিল। এখন কিছুই নেই। কাদা আর গর্তে পা মাড়িয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করি।
ইউপি সদস্য আবু ওমর জানান,
সড়ক খানাখন্দে ভরপুর। বর্ষায় হাঁটা তো দূরের কথা, রোগী নেওয়ার মত গাড়িও চলেনা। এই সড়কের উন্নয়ন ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় নেই।সড়ক শুধু ইট-মাটির বিষয় নয়, এটি মানুষের জীবনযাত্রার অংশ। পুরাদিয়া–বনকানন সড়ক যেন আর দুর্ভোগের শেষ কবে হবে এই চিন্তা এলাকাবাসীর।
Leave a Reply