জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রায় ১৬ একর চিংড়ি ঘেরের বাঁধ কেটে দিল চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। বাঁধ কাটায় ঘেরের প্রায় ১০ লক্ষ টাকার পোনা মাছের ক্ষতিসহ যেকোন সময় এনিয়ে বড় ধরণের সহিংসতা সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা।
রবিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের নতুনঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের বরাতে জানা যায়, ২০ থেকে ৩০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ চিংড়ি ঘেরে হানা দেয় এবং চারটি স্থানে বাঁধ কেটে দেয়। হামলার সময় তারা ঘেরের মালিক ফজল করিমকে মারধরেরও চেষ্টা করে। দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। পরে স্থানীয় নারী-পুরুষ ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করে।
চিংড়ি ঘেরের মালিক ফজল করিম জানান, তিনি চাঁদপুরের রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম (সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী)-এর মালিকানাধীন জমি এক বছরের জন্য ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে ইজারা (এফিডেভিটের মাধ্যমে) নেন। এরপর থেকে সেখানে লবণ ও চিংড়ি চাষ করে আসছেন। দুই মাস আগে তিনি প্রায় চার লক্ষ টাকার বাগদা চিংড়ির পোনা ছাড়েন। কিন্তু সরকারের পটপরিবর্তনের পর থেকে এলাকার একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী জমিটি দখলের পাঁয়তারা শুরু করে। এমতাবস্থায় রোববার সকাল ১১টার দিকে নতুনঘোনা এলাকার মৃত নুরুল হকের পুত্র জমির উদ্দিন ও তার ছেলে গিয়াস উদ্দিন, বামলুর পাড়ার মৃত অলি মিয়ার পুত্র গিয়াস উদ্দিনসহ আরও অনেকে মিলে সিএনজি গাড়িযোগে ঘেরে হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্বে ছিলেন মহি উদ্দিন, জাফর আলমের পুত্র জাহাঙ্গীর, রফিকের পুত্র, শামসুদ্দিনসহ অন্তত ২০ থেকে ৩০ জন দুর্বৃত্ত।পরে তারা ঘেরের বাসাতেও হামলা চালায়।হামলার ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটিও ছিনিয়ে নেন। ফলে ঘের করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সিরাজুল মোস্তফা বলেন,এ বিষয়ে কেউ আমাকে এখনো অবগত করেনি। এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply