1. coxsbazarshomachar@gmail.com : admin :
সদ্য পাওয়াঃ
চকরিয়ার ধানসিঁড়ি আর গ্রীনচিলি রেস্টুরেন্টের কর্তৃপক্ষকে জরিমানা নাইক্ষ্যংছড়ি বাইশারীতে ৭ বছরের শিশু অপহরণ চকরিয়ায় মাদক সেবনরত ১০ ব্যক্তি আটকঃ প্রত্যেককে কারাদণ্ড প্রদান সংবাদ সম্মেলনে ন্যায়বিচার দাবী চকরিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েও সাজানো মামলায় হয়রানির অভিযোগ পেকুয়ায় শের আলী মাস্টার পাড়া সড়ক এখন মরণফাঁদ!দেখার কেউ নেই খুটাখালীতে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত প্রকৃতি ও জীবন ক্লাবের উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ খুটাখালীতে বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বহি বিনামূল্যে বিতরণ সম্পন্ন চকরিয়ায় বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অবিভাবকের মানববন্ধন, মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী কর্তৃক নারী নির্যাতন মামলাঃ নিজের মেয়েকে ধর্ষণের রেকর্ড ফাঁস

  • পোস্টিং সময় : সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫

জিয়াউল হক জিয়াঃ কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী কর্তৃক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের।দীর্ঘদিন পরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও রেকর্ডও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পাগলিরবিল এলাকায়।

ভুক্তভোগী স্ত্রী রিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী মো. মোরশেদ (৩৫) এর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবী, শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনসহ আমাদের বড় মেয়ে জান্নাতুল মাওয়াকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে বিবাহের নামে বিক্রি করার অভিযোগ তোলে গত ৯ এপ্রিল কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং- সি.পি-১০১/২৫। এ মামলাটি দায়ের করার পর থেকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে আমার স্বামী মো. মোরশেদ। এমনকি, দায়েরকৃত মামলা তুলে না নিলে আমি সহ আমার সন্তানদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় সে। এক পর্যায়ে আমিসহ আমার সন্তানদের জানমালের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে মামলাটি আপোষ করতে যাই আদালতে। কিন্তু বিজ্ঞ আদালত আপোষনামা গ্রহণ না করে তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। পরে আদালত থেকে বাড়িতে ফেরার পর জানতে পারি আমার বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার নামে অন্যত্র নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার বিষয়টি। এ সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ডও আছে আমার ভাইয়ের স্ত্রীর মোবাইলে। আমি এ নরপিশাচের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এদিকে ভুক্তভোগী রিনা আক্তারের পিতা আবুল হাশেম জানান- আসামী আমার জামাতা হয়। আমার মেয়েকে বিয়ের পরে এপর্যন্ত আরো তিনটি বিয়ে করে সে চট্টগ্রাম,শরীয়তপুর ও দূর্গাপুরে একেক সময় একেকজন স্ত্রীর কাছে থাকেন। বছরে কয়েকবার খুটাখালীতে আসেন।আমার বড় নাতনীকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে কোথায় রেখেছিল প্রায় ৮মাস খোঁজও পাইনি। হঠাৎ নাতনী জান্নাতুল মাওয়া একদিন মেয়ের মামী অর্থাৎ মামলার স্বাক্ষী জাকিয়া সোলতানাকে ফোন করে বলে- তাকে দুর্গাপুর এলাকার এক বৃদ্ধ লোককে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে তার বাবা। বর্তমানে সে ওই বৃদ্ধ লোকের সাথে সংসারে আছে বলে জানিয়েছেন। মামলার স্বাক্ষী জাকিয়া সোলতানার সাথে মোবাইলে কথোপকথনের সময় রিনা আক্তারের বড় মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, আমার পিতা আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। এমন করতে করতে আমি গর্ভবতী হলে বিষয়টি আমার দাদী রাবেয়া বসরী জেনে যায়। তখন আমার পিতা আমাকে এক মহিলার কাছে নিয়ে গিয়ে গর্ভ নষ্ট করে। তারপর আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দুর্গাপুর নিয়ে আসে। এখানেও বাবার আরেকটি স্ত্রী দেখি। সেখান থেকে আমাকে এক বৃদ্ধ লোককে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিলে, আমাকে বৃদ্ধটি বিয়ে করে।

পরে এক পর্যায়ে আমার স্বামী আমাকে ফুঁসলিয়ে জিজ্ঞেস করলে, ভয়ে আমি পিতার কাছে ধর্ষিত হয়েছি বলে স্বীকার করি। পিতার হাতে আপন মেয়ে ধর্ষণ, বিক্রি সহ আরো গোপন কথার অডিও রেকর্ড আমার পুত্র বধুর মোবাইলে সংরক্ষিত আছে। এবিষয়ে আমি পিতা নামক এ নরপিশাচের কঠিন শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ কক্সবাজার সমাচার
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!