মোঃ নাজমুল হুদা, লামাঃ হাইকোর্টের নির্দেশে অবৈধ ইটভাটায় উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়নে দুইদিনে ০৬টি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়ে স্থায়ী উচ্ছেদ করছেন প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
বুধবার-বৃহস্পতিবার (১৪ আগষ্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফাইতং ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি’র নির্দেশনায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈন উদ্দিন অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম, পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিদর্শক মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, অভিযানে সহযোগিতা ছিলেন লামা ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ প্রমূখ।
হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশে উপজেলার ৬টি অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ’র নির্দেশ দেন।
নির্দেশনা মতে অভিযানের প্রথম দিনে গুড়িয়ে দেয়া হয় ইবি এম এলাহি ব্রিকস ও সেভেন ব্রিকস ম্যানু (N.R.B-M.B.I-U.M.B-S.B.W) সহ বুধবার ৪টি ইটভাটা চুল্লী ভেঙ্গে দেন।একই সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয় ইটভাটা গুলোর সব কার্যক্রম।
এর আগে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধনকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০ ও ইটভাটা প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক তার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রশাসন বরাবরে অনুরোধ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর। অভিযান চালিয়ে ০৬ ইটভাটা গুড়িয়ে দেয়ার মুহূর্তে পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসনের লাইসেন্স না থাকায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অভিযানের প্রথম দিনে দুইটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে বৃক্ষরোপণ করি।
Leave a Reply