জিয়াউল হক জিয়াঃ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দরগাহপাড়াস্হ কিশলয় স্কুল পাহাড়ীকা স্টেডিয়াম থেকে গত বুধবার রাতের আধারে বালু উত্তোলন করে পাচার করছেন সংঘবদ্ধ বালু সিন্ডিকেটধারী বালু খেকোরা।
শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) বিকাল ৩টার দিকে কিশলয় স্কুল পাহাড়ীকা স্টেডিয়াম বালু উত্তোলন প্রতিরোধে বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সাবেক অধ্যক্ষ এসএম মনজুর,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাষ্টার বাহাদুর হক, ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা বেলাল উদ্দিন,সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেন,।বক্তারা প্রতিবাদী কন্ঠে বলেন-রাতের আধারে স্টেডিয়ামের বালু উত্তোলন করে পাচার করছেন সংঘবদ্ধ একদল বালু ও বনখেকোরা।আমি এবিষয়ে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের এসিএফ,রেঞ্জকর্মকর্তাকে অবগত করেছি। বন রক্ষা আর শিক্ষার্থীদের একমাত্র খেলার মাঠ রক্ষায় আমরা সকলই ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আপনারা আইনীভাবে সহযোগিতা করুণ।না হয় আমরা আপনাদের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের কাছে যেত বাধ্য হবো।ভবিষ্যতে যারা ওয়াল ভেঙ্গে বালু উত্তোলন করতে চেষ্টা করবেন।আমরা তাদেরকে প্রতিহত সহ আটকি প্রশাসনের হাতে তুলো দিতে বাধ্য থাকবো।এছাড়াও যারা খেলার মাঠ রক্ষার জন্য প্রতিবাদ করেন-সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তা জুয়েল চৌধুরী তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তিনি বনভূমি রক্ষার জন্য দায়িত্ব নেননি।বনভূমি ধ্বংস করার জন্য বনবিভাগের দায়িত্ব নিয়েছেন।সরকার পরিবর্তন হলে,এই খেলার মাঠের জন্য নেওয়া ১০খানি জমি আমরা উদ্ধার করবো।যা গেল ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে জবরদখল করা হয়েছে।
দরগাহপাড়া মসজিদের সভাপতি ও বিএনপির নেতা মোঃ শাহাজান বাবুল বলেন-কয়েকমাস আগেো যখন মাঠ থেকে বালু উত্তোলন করেছিল।তখনও আমি বালু পাচারকারীদের সাথে লড়াই করে,বালু উত্তোলন বন্ধ করি।তখন সেই বালু খেকোদের টাকায় বিট কর্মকর্তা জুয়েল আমার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।বিট কর্মকর্তা এমন সুযোগে পাচারকারীরা প্রতিবাদকারীদের কে মারধর করে,মিথ্যা মামলায় আসামি করার হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
খুটাখালীর প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান ওয়ার্ডের মেম্বার নুর মোহাম্মদ পেঠান মুন্সি বলেন-স্টেডিয়ামের পাঁকা গেট আর ওয়াল ভেঙ্গে যারা রাতে আধারে বালু উত্তোলন করে পাচার করছেন।আমি তাদেরকে হুশিয়ার করছি,ভবিষ্যতে যদি আপনার এমন কাজ করতে আসে,তাহলে আপনারা সুস্হতা অবস্হায় যেতে পারবেন না।বিট কর্মকর্তা জুয়েল সেই বালু খেকোদের সাথে আতাত করে,বালু পাচারের সুযোগ করে দিচ্ছেন।সুতরাং স্টেডিয়ামের পাঁকা গেটটি আমি নিজের টাকা পূণরায় করে দিব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এলাকার বিএনপির নেতা ও ব্যবসায়ী লিটন সিকদার বলেন-স্টেডিয়াম রক্ষার জন্য যা-যা করা দরকার আমি আপনাদেরকে সাথে প্রতিহত,প্রতিরোধ করবো।তাছড়া বালু খেকোদের প্রতিরোধে আমি সবার আগে এগিয়ে আসবো।স্টেডিয়ামের গর্ত ভরাট সহ খেলার উপযোগী করে দিব এবং চলমান টুনামেন্টের পুরস্কার বাবদ আমি ১০ হাজার টাকা অর্থ সহযোগিতা করবো বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ফার্মাসিস্ট রাশেদ এলাকার প্রতিবেশী মানববন্ধনকারী লোকজন আর মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদী মিছিল করেছেন।মিছিলে শ্লোগান ছিল,মানববন্ধন সফল হোক স্বার্থক হোক,বালু খেকোদের ঠেকাতে ঐক্য আছি,থাকবো,প্রশাসন যদি আইনী ব্যবস্হা নিতে গড়িমসি করে,প্রতিবাদ,প্রতিরোধ করেই ছাড়বো।
মানববন্ধনে এলাকার আওয়াল,বৃদ্ধ,যুব সমাজ,কঁচি শিক্ষার্থী,প্রতিবাদী মহিলাসহ ৫শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply