নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চকরিয়া- লামা সড়কের ফাঁসিয়াখালী রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে পর্যটকবাহী জীপ, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ডাকাত দলের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি বন্দুক, কার্তুজ ও ৫টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকাল থেকে দুই দফায় অভিযান চালিয়ে বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতারিবল ফতিয়াঘোনা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড উচিতারবিল মুসলিম নগর গ্রামের আবদুল মজিদ এর ছেলে আবুল কালাম(২৪) ও নজরুল ইসলামের ছেলে মোবারক আলী(২৫), ফতিয়াঘোনা এলাকার শফর মুল্লুকের ছেলে ফারুক(২৭), একই এলাকার ফয়েজ আহমদের ছেলে জিসান(২৩) ও বার্মাইয়া জসিম(২৫)।
গত সোমবার রাতে আলীকদম থেকে চকরিয়া ফেরার পথে সড়কের ফাঁসিয়াখালী রিজার্ভ ফরেস্ট এলাকায় পর্যটকবাহী জীপ ও যাত্রীবাহী টমটমসহ অন্তত ৫টি গাড়ি ডাকাতের কবলে পড়ে। ডাকাতরা সড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পর্যটক ও যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে। এসময় খবর পেয়ে চকরিয়া থানার ওসি’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
থানা পুলিশ জানায়, সড়কে ডাকাতির ঘটনায় থানার এসআই জাকির হোসেন বাদী হয়ে ডাকাতি মামলা রুজু হয়। ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ্যে চকরিয়া থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উচিতার বিল ফতিয়াঘোনা নামক পাহাড়ি দূর্গম এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযানে থাকা চকরিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক জসিম উদ্দিন জানান, এ সময় আরো ৪-৫ জন ডাকাত পালিয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে সকালে আবারও অভিযান পরিচালনা করা হয়। বুধবার দুপুর ১টার দিকে আরও তিন ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই । এসময় আরও দুই ডাকাত পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ার জানান, ‘গ্রেফতারকৃতরা সবাই সক্রিয় ডাকাত দলের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতিতে সম্পৃক্তের কথা স্বীকার করেছে। এদের সবাইকে আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চাওয়া হবে। এছাড়া ডাকাতিতে সম্পৃক্তদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।’
Leave a Reply