অনলাইন ডেস্ক ::
অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে নিজেদের চাওয়ার কথাও সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে।
এছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে নিজেদের চাওয়ার কথাও সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনূসের আহ্বানকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। পরে শপথ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের ১৩ উপদেষ্টা।
ম্যাথিউ মিলার বলেন, “বাংলাদেশের জন্য আজ একটি শুভ দিন। নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ইউনূস সবেমাত্র বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।”
স্টেট ডিপার্টমেন্ট বা প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আমাদের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স আজ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং আমরা সাম্প্রতিক সহিংসতা বন্ধের জন্য ড. ইউনুসের আহ্বানকে স্বাগত জানাই। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং ড. ইউনূসের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।”
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, “শিগগিরই সব ধরনের অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে।” শপথ গ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে দেওয়া প্রথম ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
ইউনূস বলেন, “স্বৈরাচারী সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অপরাধ করেছে শিগগিরই তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। সব সেক্টরের অপরাধের বিচার হবে।”
সব প্রতিষ্ঠান ও এর সদস্যদের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং দেশকে গৌরবের সর্বোচ্চ স্তরে উন্নীত করার মাধ্যমে ‘দ্বিতীয় বিজয়’ উপভোগ করার আহ্বান জানান ড. ইউনূস।
তিনি বলেন, “জাতির পক্ষ থেকে আমি সবাইকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে নির্ভীকভাবে এগিয়ে আসার এবং উৎসাহ ও আনন্দের সঙ্গে তাদের পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”
নোবেলবিজয়ী ড. ইউনূস বলেন, “সব নাগরিক যাতে ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের ফলাফল হিসেবে গঠিত এই নতুন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন সবার সরকার হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রশাসনের অধীনে দেশের সব নাগরিক নিজেদের আকাঙ্ক্ষা পূরণের অধিকার পাবে।”
বিজয়ী শিক্ষার্থীরা, জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সর্বশক্তি দিয়ে নৈরাজ্যের বিষবাষ্প ছড়ানোর যে কোনো অপচেষ্টা প্রতিহত করবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
Leave a Reply