অনলাইন ডেস্ক :
পেরিয়েছে অনেক সময়, বদলেছে কত কিছুই। কিন্তু ফুরায়নি স্বজনহারাদের আর্তনাদ, আর অপেক্ষা। এখনো আশায় আছেন, জীবিতই আছে হারিয়ে যাওয়া স্বজনরা। তাইতো আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর হারিয়ে যাওয়াদের খোঁজে মাঠে নেমেছেন স্বজনরা। গুমের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটামও দেন তারা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে গেলেও এখনও গুম হওয়া ব্যাক্তিদের খোঁজে দিশেহারা স্বজনরা। সরকারের পতনে অনেকে ফিরলেও আশার কোনও আলোই ফেরেনি এ পরিবারগুলোতে। প্রশ্ন, তারা কোথায়, জীবিত আছেন, নাকি একেবারেই হারিয়ে গেছেন?
না-জানা এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘মায়ের ডাক’ নামে একটি সংগঠন। তাতে এর অন্যতম সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি গুমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের গ্রেফতারে সরকারকে বেঁধে দেন ২৪ ঘণ্টার সময়।
জিয়াউল হাসান ও তারেক সিদ্দিকের মতো কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আয়নাঘরে বন্দিদের অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন। কিন্তু এখনও অনেকের কোন খোঁজ নেই। তারা কোথায় আছেন, জীবিত আছেন নাকি একেবারেই হারিয়ে গেছেন, আমরা জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিচ্ছি। গুমঘর বিলুপ্ত হওয়াসহ জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন গুম হওয়াদের স্বজনরা। আর কাউকে যাতে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে গুম হতে না হয় — এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।
এর আগে, সকালে সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা রাস্তা অবরোধ করে বসে পড়েন। ‘আয়না ঘর আয়না ঘর’, ‘খুলে দাও খুলে দাও’, ‘মুক্তি চাই মুক্তি চাই, ‘গুম-স্বজনদের মুক্তি চাই’ ইত্যাদি বলে স্লোগানও দেন তারা।
Leave a Reply