মাসুদ পারভেজ:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার চট্টগ্রামের হাটজারী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে নগরীর পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন তসলিমা আফরোজ (৪০), নাজিফা সালসাবিন (৩০) ও মো. লোকমান (৫৩)। গ্রেফতার দুই নারী ভিকটিমের স্বামীর বোন এবং অন্যজন ভগ্নিপতি। সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জাবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুর লাশ চমেক হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানোর চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম শাহনাজ কামরুন নাহার (২৫)। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী। বাড়ি পটিয়ার হাইদগাঁও এলাকায়। স্বামীর নাম প্রিন্স মোহাম্মদ আল ফাহাদ চৌধুরী। নগরীর কসমোপলিটন আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সড়কে কাশেম বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় থাকতেন শাহনাজ ও তার স্বামীর পরিবার।
অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ভিকটিমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের যৌতুকের দাবিতে ক্রমাগত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কসমোপলিটন এলাকায় শ্বশুরের বাসায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নারী। পরে ভিকটিমের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহনাজকে মৃত ঘোষণা করলে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রেখে পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই শাহনেওয়াজ (৩৫) বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply