জিয়াউল হক জিয়া :
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাট ষ্টেশনে আধিপত্য বিস্তারের জেরে আব্দুর রহমান হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বের হয়ে ফের ওয়ার্ড মেম্বার আবু ছালামকে হত্যার চেষ্টায় হামলা করে।খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে,পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।প্রতিশোধ নিতে মেম্বার সমর্থকদের পাল্টা হামলা।
গতকাল শনিবার (১১ জানুয়ারী) রাত ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্হ মালুমঘাট স্টেশনের আবু সৈয়দের দোকানের সামনে এঘটনা ঘটেছে।
আহত-মেম্বার আবু ছালাম,ডুলাহাজারা ইউপির ২নং ওয়ার্ডের ডুমখালী এলাকার বাসিন্দা।
মেম্বার ছালাম জানান-গত ২১শে রমজান ইফতারের আগমূহুর্তে আমার ডুমখালী এলাকার ছেলে আব্দুর রহমানকে বাজার থেকে ধরে নিয়ে গুলি করার পরে চাকু দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে হত্যা করে।পরে নিহত পরিবার থানায় মামলা করার পরে পুলিশ আসামী ধরে হাজতে পাঠায়। পুলিশ কেন আসামী ধরলো এর জেরধরে আক্রোশ মূলক আমাকেও তুলে নিয়ে হত্যার চেষ্টা চালালে,এসময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলায় আমার বাম হাত ভেঙ্গে যায়।তখন আমার চিল্লাচিল্লিতে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসলে আমি প্রাণে বেঁচে যায়।তবুও সন্ত্রাসীরা আমাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টায় জড়ো হওয়া লোকজনকে ফাঁকা করতে তারা গুলি ছুঁটে।এ খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে,তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩০ রাউন্ড মত গুলি ছুটে।পুলিশ একটি গুলি ছুটলে,সন্ত্রাসীরা পাল্টা দশটা গুলি করে।এরপর সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর তারা পালিয়ে যায়।তারপর নিহত রহমান হত্যার আত্মীয়-স্বজনরা জড়ো হয়ে আমাকে বাঁচানোর জন্য ছুটে এসেছে বলে শোনেছি।আশ্চর্য বিষয় হলো পুলিশ ডুমখালীর রিজার্ভ পাড়ার সন্ত্রাসীদের ধরতে এলাকায় ঢুকলো না।তাই আমিও জানের নিরাপত্তাহীন হলো থানায় মামলা বা অভিযোগ করতে যায়নি।
পাল্টা হামলা চালায় মেম্বার সমর্থকেরা।তারা রিজার্ভ পাড়ায় ঢুকে আবু বকর বাড়ী আর নার্গিসের বাড়ীতে আগুন দেন।কারণ আবু বকরকে মারধরের দায়ে স্ত্রী বাদী হয়ে মেম্বারের ছেলে সহ আরো কয়েকজনের নামে মামলা করায় গতরাতে পাল্টা হামলা করে বলে জানান আবু বকর।এছাড়াও তারা আমাদের পাড়ার ইব্রাহিম নামের এক নিরহ লোককে ছুরিকাঘাত করেছে।এবিষয়ে আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।
এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের ভূইঁয়া বলেন-বাজারের মুরগির ফার্ম দোকান দখল-বেদখল নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়।আমি সহ পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত পরিবেশ শান্ত্ব করার চেষ্টা করলে,রিজার্ভ পাড়ার গ্রুপের লোকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ২৫/৩০ রাউন্ড গুলি ছুটে।আমরাও তাদের হামলা থেকে বাঁচতে ২৩ রাউন্ড গুলি ছুটি।এর আগে নাকি এক মেম্বার আহত হয়েছে।পরে শোনেছি রিজার্ভ পাড়ার ১/২টি বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।কারা করলো সঠিক জানি না।পাল্টা হামলা অপরপক্ষের কেউ আহত হয়েছে কিনা তাও শোনেনি।এখনো পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগও করেনি।তবে রহমান হত্যার আসামীরা জামিনে এসে তান্ডব শুরু করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
Leave a Reply