বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার দক্ষিন মিটাছড়ি চেইন্দা হোপ ফাউন্ডেশনের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ। অনিয়মও দুর্নীতি করে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন চীফ একাউন্ট এন্ড ফাইনান্স অফিসার মোঃ আরিফুর রহমান ও সিনিয়র একাউন্টস ফাইনান্স অফিসার মোঃ শাহনেওয়াজ কবীর। তাদের একটি সিন্ডিকেট হোপ ফাউন্ডেশন হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে হোপ ফাউন্ডেশনরে মত সেবামূলক প্রতিষ্ঠানকে পথে বসিয়েছে।
হোপ ফাউন্ডেশন দীর্ঘ বছর ধরে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে কাজ করছে। বিভিন্ন সরকারি ও এনজিও সংস্থা কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রজেক্ট তাদের দিয়ে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি হোপ ফাউন্ডেশন হতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। ফলে ফান্ড ক্রাইসিসে রয়েছে হোপ ফাউন্ডেশন। ইতিমধ্যে দুই শতাধিক কর্মচারী কর্মকর্তা চাকরি হারিয়েছেন। আরো তিন শতাধিক কর্মচারী কর্মকর্তা চাকরী হারানোর ভয়ে আতঙ্কে রয়েছে। এর নেপথ্যে রয়েছে হিসাব শাখার দুই জন কর্মকর্তা এমনটি উল্লেখ রয়েছে দুদকে দেওয়া অভিযোগ পত্রে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চীফ একাউন্ট এন্ড ফাইনান্স অফিসার মোঃ আরিফুর রহমান ও সিনিয়র একাউন্টস ফাইনান্স অফিসার মোঃ শাহনেওয়াজ কবীর এর একটি বড় ধরনের সিন্ডিকেট রয়েছে। উক্ত সিন্ডিকেট বিভিন্নভাবে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তৎমধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্লু-মার্ট নামিয় একটি ভুয়া সাপ্লাইয়ার কোম্পানী। ব্ল-মার্ট নামিয় ভুয়া সাপ্লাইয়ার হতে বিগত পাঁচ বছর ধরে ঝাড়– থেকে শুরু করে মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র সাপ্লাই দিয়েছে। ভুয়া ভাউচার, চেকে ট্র্যাজারার আবুল কালামের ভুয়া সিগনেচার তৈরি,কর্মীদের ভুয়া খরচের বিল,হাসপাতালের ভবন তৈরিতে ইকুয়েপমেন্ট ক্রয় সব কিছুতে অনিয়ম করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
এসব ধামাচাপা দিতে আভ্যন্তরিন অডিট সৃষ্টি করে এবং কাগজ পত্র গায়েব করার অভিযোগও রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলায় মানসিক চাপ সৃষ্টি করে চাকরি হতে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করা হয়েছে।চাকরি হারিয়েছন শতধিক ডাক্তার ও কর্মকর্তা কর্মচারী। চট্রগ্রাম জেলা প্রশাসক ও মহেশখালী উপজেলার ইউএনও হোপ ফাউন্ডেশনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলায় বিভিন্ন প্রজেক্টে ব্যয়কৃত অর্থের কোন সঠিক প্রমান না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে চিঠি ইস্যু করেছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে চীফ একাউন্ট এন্ড ফাইনান্স অফিসার মোঃ আরিফুর রহমান মুঠোফোনে বিষয়টি এড়িতে যেতে এসব ব্যাপারে জানতে কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করেন।
সিনিয়র একাউন্টস ফাইনান্স অফিসার মোঃ শাহনেওয়াজ কবীর বলেন, অভিযোগের ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। সব অভিযোগ ভিত্তীহীন বলে দাবি করেন।
অভিযোগের ব্যাপারে কান্ট্রি ডিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন, তিনি দীর্ঘদিন হোপ ফাউন্ডেশনে আছেন তার মতে বিষয়টি ষড়যন্ত্র।
Leave a Reply