1. coxsbazarshomachar@gmail.com : admin :
সদ্য পাওয়াঃ
খুটাখালী বনাঞ্চলে হাতির আক্রমণে নিহত-১,আহত-১ লামায় পাহাড়ি জনপদে বাস্তবায়িত হচ্ছে নান্দনিক সড়ক নেটওয়ার্ক উচ্ছেদের পর ফের বনভূমিতে ঘেরাবেড়াঃ নীরব বিট কর্মকর্তা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত ২ লামায় “বিকল্প এক্সপ্রেস” তৈরি করছে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ লামা উপজেলার ফাইতং ইটভাটায় অভিযান, ১১ লক্ষ টাকা জরিমানা চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যায় ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল আলীকদমে বাইক-ডাম্পার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত চকরিয়ায় স্ত্রী হত্যাকারী মেহেদী লামায় আটক চকরিয়ায় বিয়ের আটমাসের মাথায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে খুন সাংবাদিক কন্যা, শ্বাশুড়ি গুরুতর আহত

পটেকমারের ফাঁদে একজন সাংবাদিক ও প্রশাসনের কিছু রূঢ় অভিজ্ঞতা

  • পোস্টিং সময় : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

চট্টগ্রাম নগরীতে দিনদিন বাড়ছে নানা অঘটন ঝুঁকিঝামেলা।নিরাপত্তাহীনতায় নগরবাসী।তথ্যপ্রযুক্তির যুগে প্রতিটি মুহূর্ত মানুষ এখন মোবাইল নির্ভরশীল।মোবাইল ছাড়া এক মুহূর্তও চলা অসম্ভব। টাকা পয়সার পাশাপাশি মোবাইল নিরাপত্তায় চরম ঝুঁকিতে ভুক্তভোগী ও জনসাধারণ।  ঘটনাক্রমে সাংবাদিকের একসাথে ২টি মোবাইল পটেকমারের ফাঁদে পড়ে !

চলার পথে সাধারণ কেউ-ই যেন আর নিরাপদ নয়। বাস্তবে মাঝে মধ্যে জননিরাপত্তায় প্রশাসনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যা ক্ষেত্র বিশেষ অতি সামান্য। শুধুমাত্র ভুমিকা পালনে লোকদেখানোর সক্রিয়তা দেখা যায়। সিংহভাগ ভুমিকায় অনেকটাই দেখা যায় নিরব গাফিলতি, অবহেলা নিষ্ক্রিয়তায় নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থান।

আইন শৃঙ্খলা প্রশাসন জননিরাপত্তায় ভুমিকায় সবসময় জনবান্ধব নয়। যার প্রমাণ ভুক্তভোগীরাই টের পায় হাড়ে হাড়ে। সমাধান বা বিচারের আশায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দ্বারে দ্বারে ঘোরপাক খেতে হয় নানা প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থানে। দীর্ঘমেয়াদী আইনি ধারাবাহিকতা গল্প- উপন্যাসের ন্যায় তিক্ত অভিজ্ঞতার চিত্ররূপ।

বলছিলাম চুরি,ছিনতাই,মলমপার্টি,অজ্ঞানপার্টি’সহ নানা কু-চক্র আতংকে  নগরবাসী। সেইসাথে বেড়েছে পকেটমারে দৌরাত্ম ।এসব পকেটমারের ছোবলের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে না কেউ-ই। সাংবাদিক, প্রশাসন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্বশীল, ভিন্ন পেশাজীবি’সহ সাধারণত মানুষ সকলেই যত্রতত্র পড়ছে পকেটমারের ছোবলে। প্রকাশ্য  নিরবে নিভৃতে প্রতিনিয়ত ভুক্তভোগী হচ্ছেন অনেকেই।

সাংবাদিক পটেকমারের ফাঁদে!সাধারণ কেউ-ই নিরাপদ নয়! প্রশাসন নিরব! বিষয়টি স্পর্শকাতর ও অবিশ্বাস্য! গল্প সিনেমা নাটক নয় বাস্তবেও সত্য।সাংবাদিক নিজেই পরিস্থিতি শিকার। নিজেই ভুক্তভোগী।   আমার পেশাগত কাজের দুইটি মোবাইল পিক পকেট হলেও ছিনতাইকারীর চেয়ে ভয়ানক কায়দায় সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়। সাবধান সতর্ক থাকার পরেও ভদ্রছদ্মবেশী পকেটমার এর ফাঁদে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সকলের সবরকম সহায়তা ও সুদৃষ্টি আশা করছি।

গতকাল ১০ফেব্রুয়ারি, বিকাল সাড়ে ৫টা। কোতোয়ালি থানা,৩নং বাস হতে। কাজির দেউড়ি এলাকা থেকে পূর্ব পরিকল্পিত কৌশলে চোখের পলকে দুইটি মোবাইল ব্যাগ থেকে নিয়ে নেয়।  কোতয়ালি থানা-১০/১০/২৪ইং,জিডি নং-১০৩৫।জিডি ট্র্যকিং নং-8ATGYX. ঘটনাক্রমে, “দৈনিক দেশের কথা” পত্রিকার মোহাম্মদ মাসুদ,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার এর ২টি মোবাইল হাতিয়ে নেয়।

ভুক্তভোগী জানায়,আমার মোবাইল ২টি আগে থেকেই পকেটমার চক্র ফলো করে। ৬/৭জন পকেটমার সিন্ডিকেট কর্তৃক মোবাইল দুইটি আগে দেখে। আমাকে নজরে রাখে। কিছু বুঝে উঠার আগেই সুকৌশলে চোখের পলকে ২টি মোবাইল হাতিয়ে নেয়। আমি পূর্ব পরিকল্পিত চোর চক্রের ফাঁদে পড়েছি তাদের বেশবুশায় কিছুই বুঝতে পারলাম না। নির্মম করুণ উদ্ভুদ  পরিস্থিতির শিকার। যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।  আমার মতো আরো অনেকেই শিকার। পথেঘাটে  চলাচলে যানবাহনে বিন্দুমাত্র নিরাপত্তা নেই।

বাস কর্মচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের অপক্ষমতা ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে যায় ধরাছোঁয়ার নাগালের বাহিরে। নিরাপত্তাঝুঁকিতে চরম বিষাদ তিক্ত অভিজ্ঞতায় সাধারণ জনসাধারণ। প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন অঘটন।  শত অঘটনেও অভিযুক্ত ও এসব অপরাধীরা সুকৌশলে হাতিয়ে নেয় কখনো টাকা কখনো মোবাইল সুযোগ পেলে সবকিছুই।  কিছুই যেন কারোরই করার নেই। ভুক্তভোগী জনসাধারণ আইন প্রশাসন সকলেই জানেন এর নেপথ্যে কাহিনী। আসল সত্যতা নিশ্চিত বাস্তবতায় কতটা ঝুঁকিপূর্ণ। আমার মতো ভুক্তভোগীদের কতটা নিষ্ঠুরতা ও অনুকূলতার তিক্ত অভিজ্ঞতায় পূর্ণ।  গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সবসময়ই সজাগ সচেতন থাকি সবকিছুতেই। কিন্তু তারপরেও বিশ্বাস হচ্ছে না আমার এমন অঘটন। অপূনীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার। ২টি মোবাইল ৮/১২৮ সেট মেমোরি ও আরো অতিরিক্ত মেমোরি কার্ডে ফুল ছিল ডকুমেন্টসে পূর্ণ। যা পেশাগত কাজের অতি প্রয়োজনীয়  গুরুত্বপপূর্ণ বিশেষ দরকারী জরুরি ডকুমেন্টস।এক অবিশ্বাস্য অদ্ভুদ পরিণতি ভারসাম্যহীন পরিস্থিতি শিকার কি করে হলাম? বুঝতে পারলাম না কিছুতেই। তেমনি মানসিক বিপর্যয় ও মনকষ্ট পেলাম অনেক। শত কোটি প্রশ্ন জাগে মনে।

ভুক্তভোগীদের মূখে শুনেছি আইনের সেবা সুবিধা পেতে ভোগান্তি হয়রানীর শিকার হতে হয়।  বাস্তব পরিণতিতে আমি নিজেও তা উপলব্ধি করেছি হাড়ে হাড়ে। প্রশাসনের গাফিলতি  অবহেলা নিষ্ক্রিয়তায়। থানায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে ঘন্টাখানেক সময় ব্যয়ের পর মিলে ধারাবাহিক অফিসিয়াল অভিযোগের রিসিভ কপি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় অভিযোগ করলেও রাত ১১টায় সংশ্লিষ্ট এসআই জানেনা ঘটনার বিষয়ে কোন কিছুই। থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত সবকিছুই বলেছে ভুক্তভোগী নিজেই। কিন্তু অভিযোগ মামলা না নিয়ে নিল সাধারণ ডায়েরি। যা হওয়ার তাই হলো।তা-ই-ই হবে।রয়ে যাবে কিছু কালোছায়ায় স্মৃতি।

ধরি মাছ না ছুঁই পানি।এপর্যন্ত আশ্বাস ছাড়া কিছুই পাইনি। সবই যেন কপাল, বাস্তবরূপে এমনই হয় সবারই হাল। সরেজমিনে আমার মতোই ভুক্তভোগী অনেকেই। এ-সব আপত্তি অভিযোগ রয়ে যায় তদন্তের নামে দীর্ঘ সময়ের ফাঁদে। গতকালে ঘটনা এখন পর্যন্ত কেউই-ই জানেননা কিছু-ই। সকলের মতো আমিও পেলাম নিয়মিত প্রাপ্য অধিকার!  দায়িত্ব পালনের জটিলতায় দায়িত্বহীনতা অবহেলার অনিশ্চিত সময় সমাধান খবরের  ফাঁকে।  আজ ঘটবার পরদিন ১১ফেব্রুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় অফিসার ইনচার্জ এস.এম. ওবায়দুল হক বলেন তিনি কিছুই জানেন না, কোন কিছুই। জিডি নম্বর-১০৩৫  ও  তদন্ত অফিসার এএসআই মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এর কথা বললাম। ঘটনার বিষয়, জানালাম। কিন্তু আমার সাথে কথা বলারও সময় নাই তার। জিডি কপি পাঠতে বলেন তিনি আমাকে। ডিউটি অফিসার এসআই জয়শ্রী বলেন,ওনি বিষয়টা জানবেন না। আজকে জানবেন। সময় দিতে হবে। আমি এএসআই মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন’কে বলে দিচ্ছি। আপনি তার সাথে কথা বলেন। সবই ছিল কপালে কেন রাস্তায় বের হলাম।কেন গণ পরিবহন বাসে উঠতে গেলাম। তার-ই মাশুলের ফলাফল। এমন অঘটন ঝুঁকি ও মনকষ্টে তীব্র মানসিক বিপর্যয় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন আমার মতো ভুক্তভোগী অনেকেই। সকলের দীর্ঘায়ু শুভ কামনায়।

—মোহাম্মদ মাসুদ,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,দৈনিক দেশের কথা।

সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো পড়ুন
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ কক্সবাজার সমাচার
Site Customized By NewsTech.Com
error: Content is protected !!