মানব পাচারের অভিযোগে এক চীনা নাগরিককে আটক করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ। তার নাম জিসাও সুহুই (৩৪)। রোববার ভোরে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার কবলে থাকা পাঁচ কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে উপজাতি নারী- পুরুষেরা মানববন্ধন করে চীনে নারী পাচারকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করে মানববন্ধন করেছিল।
উদ্ধারকৃত কিশোরীদের পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ। ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য নারী সুমি চাকমা ওরফে হেলি (৩৬) পলাতক রয়েছে।
রোববার বিকালে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
জানা যায়, অভিযুক্ত সুমি চাকমা বিভিন্ন মাধ্যমে খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাসিন্দা এক ভিকটিমকে (১৭) চীনে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে সে রাজি হয় এবং তার বান্ধবী অন্য ভিকটিমকে (১৬) জানালে সেও চীনে যেতে রাজি হয়।
সুমির কথা অনুযায়ী, তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে পৌঁছায়। সেখানে গেলে তাদের মোবাইল কেড়ে নেয় এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে ঘরে আটকে রাখে।
এ ঘটনায় ভিকটিমদের পরিবার থেকে অভিযোগ জানালে পুলিশ তদন্তে নামে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন বিভিন্ন উপজাতি জাতিগোষ্ঠীর ব্যানারে চীনে না’র পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছিল। শুক্রবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়পছিল।
এই মানববন্ধনে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থানরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠীর লোকজন উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ জিনবোধি মহাথেরো।
মূলত : সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া কিশোরীর অভিভাবক পুলিশের শরণাপন্ন হয় বলে অনেকে মনে করছেন।
Leave a Reply