বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম জানিয়েছেন, কোটা সংস্কার ও তৎপরবর্তীতে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে আহতদের তালিকা হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্বও রাষ্ট্র নেবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে আহতদের খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মাহিন সরকার, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বয়করা ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে আহতদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের তালিকা করেন। এরপর ঢামেকের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সমন্বয়করা।
সেখানে সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে এসেই আমাদের বলেছেন, তোমরা দেশের প্রত্যেকটি জায়গায়, হাসপাতালে এবং অন্যান্য জায়গায় যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের কাছে যাও। তোমরা খোঁজ নাও এবং একটি বাস্তবসম্মত তালিকা আমাদের দাও।
সারজিস বলেন, এই মানুষগুলোর গুরুত্ব আমাদের কাছে সবার আগে। আমরা রাষ্ট্র গঠনে যাব ওই মানুষগুলোর খোঁজখবর নেওয়ার পরে। তালিকা তৈরি হওয়ার পরে। সেজন্য আমরা ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। আমাদের সমন্বয়ক দলের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন জায়গায় এরই মধ্যে যাওয়া শুরু করেছেন এবং পরবর্তীতেও যাবেন।
সারজিস আরও বলেন, আমাদের ভাইয়েরা, যাদের খোঁজখবর এতদিন আমরা নিতে পারিনি। আজ থেকে আমরা তাদের দায়িত্ব নিচ্ছি। তাদের দায়িত্ব এই রাষ্ট্র নিবে। কারণ, রাষ্ট্র বিনির্মাণের যুদ্ধে অংশ নেওয়ায় আজ তাদের এ অবস্থা হয়েছে। তারা চব্বিশের আন্দোলনের যোদ্ধা, শহীদ এবং নেতা।
ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা শুধু সমন্বয় করেছি। তারা জীবন দিয়েছে বলে আমাদের ওই তাড়না এসেছে যে, আমাদের কিছু করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, রাজনীতির মাঠে আমরা বরাবরই অসংখ্য শো-অফ দেখেছি। কোথাও গিয়ে কয়েকজনকে দেখে চলে আসা হয়। আমরা সেটি করতে আসিনি। আমরা কয়েকটি দল ভাগ করে দিব। তাদের মধ্যে ওয়ার্ড ও হাসপাতাল ভাগ করে দেওয়া হবে।
সারজিস বলেন, আমরা যাব এবং আহতদের একটি তালিকা করা হবে। অর্থ্যাৎ, আমরা আমাদের কাজও করতে চাই, একইসঙ্গে হাসপাতালে আহত ভাই-বোনদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেটিও খেয়াল রাখা হবে।
Leave a Reply