নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আলীকদম পার্বত্য উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় নিহত পর্যটকের লাশ আনতে যাওয়া স্বজনবোঝাই অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। শনিবার ভোররাতে চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের রিংভং রিজার্ভ ফরেস্টের শেষ সীমানায় অবস্থিত চকরিয়া ও লামা উপজেলার সীমানা নির্ধারণকারী ব্রীজের চকরিয়া অংশে গাছ ফেলে দুর্ধর্ষ এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী এক ডাকাতকে আটক করে উদ্ধারকৃত দুইটি মোবাইলসহ পুলিশে সোপর্দ করেছে।
জানা যায়, চকরিয়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আলীকদম থেকে পর্যটকের লাশ আনতে যাচ্ছিলেন আত্মীয় স্বজনরা। কিন্তু ডাকাতদল কর্তৃক চকরিয়া ও লামা উপজেলার সীমানা নির্ধারণকারী ব্রীজের চকরিয়া অংশে গাছ ফেলে দেওয়া ব্যারিকেডে আটকা পড়েন। এসময় ৫/৭ জনের ডাকাতদল অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রীদের নগদ টাকা, কয়েকটি মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতির পর ডাকাতেরা নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়। তবে ডাকাতদলে থাকা আরাফাত নামের এক ডাকাত ঘটনার সময় লুট করে নেওয়া একটি মোবাইল গোপনে সরিয়ে জঙ্গলের ভেতর লুকিয়ে রাখে। সেই মোবাইল খুঁজতে আরাফাত সকালে ফের ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় স্থানীয় জনগণের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পিটুনি দিতে থাকে তারা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনার সাথে আরাফাত নিজেসহ বেশ কয়েকজন অংশ নেয় বলে স্বীকার করে এবং তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে দেয়। এ সময় দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সেই মোবাইলসহ ধৃত আরাফাতকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনতা। সে চকরিয়া পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদীয়া পাড়ার আবুল কালামের ছেলে।
আরাফাতের দেওয়া তথ্যানুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স ডাকাতিতে আরও যারা অংশ নেয় তারা হলেন-ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ছড়ারকূলের ছাদেক, উচিতার বিলের ফারুক, আরিফ, সাগর ছাড়াও বেশ কয়েকজন। তবে পুলিশের দাবি, এটি ডাকাতির পর্যায়ে পড়ে না। নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা ছিল।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান- ‘চকরিয়া-লামা-আলীকদম সড়কের চকরিয়া অংশে অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতি নয়, ছিনতাই হয়েছিল। সেই ঘটনায় স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটককৃত একজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি মোবাইলও। এই ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণসহ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
Leave a Reply