রাতেও যায়। ধরুন ইমার্জেন্সি ডেলিভারি দেওয়ার জন্য কাজ করছি। তখন যদি কারেন্ট চলে যায় তখন বসে থাকতে হয়। যে মালটা এক ঘণ্টায় শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেটা দুই ঘণ্টার বেশি লাগছে। মালিকের কিন্তু শ্রমিকের বেতন ঠিকই দিতে হচ্ছে, অথচ কাজ হচ্ছে অনেক কম। গ্রাহকও চিল্লাচিল্লি করে।’বন্যা ব্যান্ড স্টিলের ম্যানেজার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘সময়মতো মাল ডেলিভারি দিতে পারছি না। এতে কাস্টমারের সঙ্গে ঝগড়া হয়, বিল কম দিতে চায়। আমরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কাজ করি। কিন্তু কারেন্ট না থাকলে দেখা যায় ৮টার পরও কাজ করতে হয়। এতে পরিশ্রম বেশি হচ্ছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকার সময় আমাদের শ্রমিকরা বসে থাকে।’কাজী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ম্যানেজার মো. সবুজ বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন তিন ভাগের এক ভাগ বা প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। দিনে যে কাজ শেষ না হয় সেটা বাড়তি সময়ে করতে হয়। দেখা যায় রাত ১০টা, ১১ টা বা ১২টা পর্যন্ত কাজ করে মাল ডেলিভারি দিই।’
ওদিকে প্রিন্টিং অ্যান্ড প্রেসের চিত্র একই রকম। নীলক্ষেতের মুরাদ গ্রাফিকস অ্যান্ড প্রেসে তৈরি করা হয় ম্যাগাজিন, ব্রুশিয়ার, ক্যালেন্ডার, পোস্টার, লিফলেটসহ গ্রাফিকসের নানা কাজ। এই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মুরাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎ ছাড়া আমরা কোনো কাজ করতে পারি না। এটা লাগবেই। তা ছাড়া কম্পিউটার বা প্রেসের কোনো কাজই করতে পারি না। এতে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।’
Leave a Reply