প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে ৬.২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ভালো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে ৬.২ শতাংশ, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ভালো।
আমদানি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি বেশ কিছু খাদ্যপণ্য রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম কমে এসেছে। তা সত্ত্বেও এসব দেশ বিদ্যমান খাদ্য রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সাল পর্যন্ত বহাল রাখতে পারে।
সংস্থা জানায়, উচ্চ মাত্রায় খেলাপি ঋণ, পুঁজির ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের দুর্বলতার কারণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশের আর্থিক খাতে উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে। এসব দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশে করপোরেট খাতে সুশাসনের দুর্বলতা ও পুঁজির সংকটও আর্থিক খাতে ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
এ ছাড়া বেশি পরিমাণে সরকারি ও বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া এবং আর্থ-সামাজিক উত্তেজনা ইত্যাদি কারণে এ অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশে আর্থিক সংকটের ঝুঁকি বাড়ছে। এসব সংকট শেষ পর্যন্ত দেশের প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অঞ্চলের দেশগুলোতে আর্থিক নীতির কঠোরতা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতিগত সুদহার বাড়িয়েছে। কিন্তু ঋণের সুদহারের ক্ষেত্রে সীমা আরোপিত থাকায় অর্থনীতিতে তার সুফল পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বব্যাংক আশা করছে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে আর্থিক একীকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস আগের চেয়ে কিছুটা বাড়িয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থা জানিয়েছিল, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে ১.৭ শতাংশ। এখন বলছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ হতে পারে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি কমে ২০২৩ সালে ৫.৯ শতাংশ হবে। ২০২৪ সালে তা আরো কমে ৫.১ শতাংশ হতে পারে।
এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারতে ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ হবে। এটি গত জানুয়ারিতে করা পূর্বাভাসের তুলনায় ০.৩ শতাংশ কম।
Leave a Reply