চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর, আবেদন ফি ২০০ টাকায় নামিয়ে আনাসহ তিন দফা দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন চাকুরী প্রত্যাশীরা।
শনিবার (১০ জুন) দুপুরে ১টার দিকে এ কর্মসূচি শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যা তারা। এতে ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে ফেসবুকে একটি গ্রুপে সমাবেশের ডাক দেন তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা শিক্ষার্থীরা এতে যোগ দেন। সমাবেশে দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থী সমাবেশ ও প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ৩০ ঊর্ধ্ব সার্টিফিকেট ছেঁড়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে।
অবরোধ শুরুর আগে সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাকুরীতে বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে যাচ্ছি। দেশের আমলা, কূটনীতিক ও মন্ত্রী, কেউ আজ পর্যন্ত আমাদের এ দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতে পারেননি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি লাখ লাখ তরুণের হয়ে চাকুরীতে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাতে চেষ্টা করেছিলেন।
তারা আরও বলেন, চাকুরীতে বয়সসীমা বাড়ানোর এ বিষয়টি ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। যারা নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন কমিটিতে ছিলেন, তারা প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি অবগত করতে পারেননি। তরুণ সমাজ দমে যায়নি। আমাদের এ আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ‘চাকুরীতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক শরিফুল হাসান শুভ।
Leave a Reply