ঈদগাঁও সংবাদদাতা:
কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে স্বনামধন্য মেসার্স মক্কা সল্ট ক্রাশিং ইন্ডাষ্ট্রিজ অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মিল মালিক পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকাল ৫ টায় ঈদগাঁও স্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রসিং মিল মালিক কামাল উদ্দিনের ছেলে ও মিলের পরিচালক আদনান কামাল বলেন, গত ঈদের পাঁচ দিন পর আমার বাবা ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সুযোগে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মাস্টার আমার বাবার মালিকানাধীন মেসার্স মক্কা সল্ট ক্রাশিং ইন্ডাষ্ট্রিজ জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করে অলিখিত স্ট্যাম্প ও চেকে স্বাক্ষর নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। তাদের কথা মতো কোনো কাগজে স্বাক্ষর না করায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে।
তিনি বলেন, গত ৯ আগস্ট বিকেলে কাদের মাস্টারসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী তাঁকে মিলের বাইরে ডেকে এনে অস্ত্রের মুখে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর না দিলে অপহরণপূর্বক গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
একই দিন রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় সন্ত্রাসী জয়নাল, বেলাল ও সাগরসহ ৭-৮ জন মিলের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মূল কাগজপত্র, চারটি ব্যাংকের অলিখিত চেক এবং দোকানের সিসি ক্যামেরার ডিভিআর মেশিন লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে বেলাল ফোন করে জানান, “সব ডকুমেন্টস আমাদের কাছে আছে, তোমরা এখন কিভাবে মিল চালাবে? যদি লবণ মিলে আসো, গুলি করে মেরে ফেলব।”
আদনান কামাল আরো বলেন, গতকাল স্থানীয় একটি অনলাইনের ভিডিও বার্তায় ইসলামপুরের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মাস্টার দাবি করেন মিলটি তিনি ক্রয়করে পাহারা দিচ্ছি! তাঁকে আমাদের মিল পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন বলে প্রশ্ন করেন আদনান।
বর্তমানে মিলের মুল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতা আবদুল কাদের মাস্টার। নিজেদের মিলে প্রবেশ করতে পারছেন না উল্লেখ করে কঠোর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে দাবি করেন আদনানের বড় ভাই আসাদুল হক।
অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে লবণ মিল উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুল কাদের মাস্টারের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, অনলাইনের একটি বক্তব্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “ইসলামপুরস্থ মেসার্স মক্কা সল্টের অনেক দেনাপাওনা, অনেক লোকে টাকা পায়, ব্যাংকও টাকা পায়, জমি ক্রয়েও ঝামেলা আছে। আমি কামাল সাহেব থেকে ক্রয় করে সকলের পাওনা পরিশোধ করব।”
Leave a Reply